জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘ধর্ষণ হলে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে’

এবিএনএ : রাজধানীর বনানীতে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে ডেকে ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আনার পর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, অভিযোগকারী তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আলামত সংগ্রহের পর আমরা তা বিভিন্ন বিভাগে পাঠিয়েছি। এসব বিভাগে পাঠানো আলামতগুলোর প্রতিবেদন যখন আমাদের হাতে আসবে তখন এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য যে সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয় সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অভিযোগকারী আমাদের কাছে এসেছে। যেহেতু ৪৮ ঘণ্টা এখনও পার হয়নি তাই এর মধ্যে কোনো কিছু ঘটে থাকলে আমরা পজেটিভ রিপোর্ট পাব।

অভিযোগকারী সেই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের বোর্ডে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ, একই বিভাগের ডা. প্রদীপ, ডা. মমতাজ, ডা. রেজওয়ানা ও ডা. কবির।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযোগকারী এ তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢামেকে নিয়ে আসে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে।

প্রসঙ্গত, জন্মদিনের কথা বলে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে বনানীর ২ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর বাড়িটিতে (ন্যাম ভিলেজ) এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই তরুণী এ ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা করেছেন।

প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ। ওই তরুণী গতকাল বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর-৮।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। গত চার মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মঙ্গলবার জন্মদিনের কথা বলে খালি বাসায় ডেকে এনে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর রাতেই বাসা থেকে বের করে দেয়া হয় তাকে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ, শাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সব আসামি বর্তমানে কারাগারে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button