এবিএনএ:  আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, “আমরা পিআর পদ্ধতি চাই না, এটি আমাদের বাস্তবতা ও ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান থেকে আমরা স্পষ্টভাবে এই নির্বাচন পদ্ধতির বিরোধিতা করে এসেছি। অতীতে সংস্কার কমিশনেও এ বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি।”

তিনি যুক্তি দেন, “এই পদ্ধতিতে কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটার জানতেই পারবেন না কে হবেন তাদের এমপি। এমন অনির্দিষ্টতার মধ্যে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রস্তাবের আড়ালে অনেকে নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল খুঁজে পেতে পারেন।”

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, “আমরা যে ব্যবস্থা চাই, তা হলো ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ভোটে এক ব্যক্তি তার নির্বাচনী আসনে প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। এটাই দেশের ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও দীর্ঘদিনের চর্চিত পদ্ধতি।”

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিএনপি নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে একই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবিতে সরব হন চরমোনাই পীর ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। পরওয়ার বলেন, “পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মানবে না।”

চরমোনাই পীর রেজাউল করীম তার বক্তব্যে জানান, “গণভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন করতে চাইলে পিআর পদ্ধতি ছাড়া সংসদ নির্বাচন করা যাবে না। এটাই এখন দেশের মানুষের দাবি।”

এই অবস্থানগত দ্বৈততা ইঙ্গিত দেয়, পিআর পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মতপার্থক্য তীব্র হচ্ছে। তবে বিএনপি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তারা এই পদ্ধতিকে বর্তমান বাংলাদেশে বাস্তবসম্মত মনে করে না।