এবিএনএ : ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্য হামলার শিকার হয়েছিল ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র। সেদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পাশাপাশি হামলা হয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনেও। এ ছাড়া ছিনতাই হওয়া আরও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভেনিয়ার শাঙ্কসভিলে। ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন আল-কায়েদার জঙ্গিরা ভয়াবহ ওই হামলা চালায়। এতে ২ হাজার ৯৭৭ জন প্রাণ হারান। আহত হন আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে টুইন টাওয়ার হামলার ২০ বছর স্মরণকালে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ওই সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের স্মরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। টুইন টাওয়ার হামলার দুই দশকের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে তিনি ভয়াবহ ওই হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে ওই হামলার পর জরুরি বিভাগের যেসব কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যতই সময় পার হয়ে যাক না কেন এ স্মৃতিগুলো সবকিছুকে যন্ত্রণাদায়কভাবেই ফিরিয়ে আনে যেন মনে হবে আপনি কয়েক সেকেন্ড আগেই এ খবর পেয়েছেন।
ওই হামলার পর আমেরিকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয়, ক্ষোভ, সহিংসতা এবং বৈরী আচরণ করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে তার মতে, মানুষের মধ্যে ঐক্যই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, আমরা এটা শিখেছি যে ঐক্য এমন একটি জিনিস যাকে কখনই ভাঙতে দেওয়া যাবে না। আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত ১৯ জঙ্গি চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জায়গায় আত্মঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ ওই হামলার পর এতগুলো বছর কেটে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে একই ধরনের হামলা হওয়ার শঙ্কা কাটেনি। বরং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা বাড়ছে। সেদিন দুটি প্লেন আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ারে। দুটি বিমানের লক্ষ্য ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। ওই হামলার ৫০ মিনিট না যেতেই তৃতীয় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে। আর চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভেনিয়ার শাঙ্কসভিলেতে একটি খালি মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এদিকে একই দিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্মরণসভায় অংশ নেন। তিনি ৯/১১ হামলার তিনটি স্থান পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.