এবিএনএ : মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নিতে আবারও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দখল হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। তবে চিঠির বিষয়টি শুক্রবার গণমাধ্যমে আসে।
চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে অনেক স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর যথাযথ নিরাপদ পরিবেশেই সেসব মামলার বিচারকাজ পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা, পিলখানা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মতো অতি স্পর্শকাতর মামলাসমূহ অধস্তন আদালতে বিচার নিষ্পত্তিতে কোনোরূপ সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ার বিষয়ে সরকার যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে তা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর এরইমধ্যে সাত বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সরকার সদিচ্ছা পোষণ করলে এই ট্রাইব্যুনালের জন্য অন্যত্র সুবিধাজনক ও আরও নিরাপদ স্থানের ব্যবস্থা করতে পারত।
আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রীর আলোচনা হয়। সুপ্রিম কোর্টের স্থান সংকুলান না হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ বছরের ৩০ জুনের পূর্বে অন্যত্র সরিয়ে নিতে মন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে আলোচনার সময় আশ্বস্ত করেন। আর ৩০ জুনের পূর্বে সরকারকে কোনো চিঠি না দিতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে এখনো পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। অথচ গত ১৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি পাঠানোর দীর্ঘ আড়াই মাস পর ৩০ অক্টোবর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের অবতারণা করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জবাব পাঠানো হয়।
নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন ও তাদের ব্যবহারের জন্য পুলিশ ব্যারাক নির্মাণে বার বার বলা হলেও স্থান বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়াসহ ছুটির দিনগুলোয় কোনো নিরাপত্তাই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
চিঠিতে বলা হয়, স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টের ২৫০০ কর্মচারীর জন্য প্রয়োজনীয় অফিস কক্ষের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে এক টেবিলে দুই বা ততোধিক কর্মচারীকে বসে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন ঘটছে। স্থানের অপ্রতুলতার কারণে বিচারপতিদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/কোর্ট রুমের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।
ভবিষ্যতে এ সংকট আরও প্রকট হবে সেটা অনুমান করা যাচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্টের সকল এলাকা সমন্বিত করে উন্নয়নের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর তাই ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে পুরনো হাইকোর্ট ভবনের দখল সুপ্রিম কোর্টকে হস্তান্তর করতে বলা হয় চিঠিতে।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.