এবিএনএ : বাংলাদেশে কিলোমিটার প্রতি সড়কের নির্মাণ ব্যয় অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি বলে যে প্রচার রয়েছে, তা নাকচ করেছেন সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। সাম্প্রতিক ইন্দোনেশিয়া সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে দেশের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ টাকা ব্যয় হয় বাংলাদেশে। সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সচিব। আগের দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রকৌশলীদের দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাঠানো প্রতিবেদন নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন তিনি।
এ সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী বাংলাদেশে সড়কের নির্মাণ ব্যয় বেশি বলে যে প্রচার রয়েছে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রাখেন সচিবের কাছে। নির্মাণ ব্যয় বেশি হলে সড়ক কেন দ্রুত ভাঙে-এটি ছিল তার জিজ্ঞাসা। জবাবে সচিব বলেন, এটি একটি অসত্য প্রচার। তিনি বলেন, ‘দেখুন ইন্দোনেশিয়ায় আমি কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম। সেখানে এক কিলোমিটার ফোর লেন রাস্তা নির্মাণে ব্যয় হয় ১৭৪ কোটি টাকা। আর সেই একই রাস্তা নির্মাণে আমাদের দেশে ব্যয় হয় মাত্র ৫৪ কোটি টাকা। ফলে ব্যয় আমাদের দেশে অনেক কম।’ এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান বলেন, ‘দেখুন আমরা একটি রাস্তা নির্মাণের সময় ২০ বছরের ডিজাইন লাইফ (জীবনকাল) দিয়ে নির্মাণ করি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এই ২০ বছর কোন মেরামত করা হবে না। বরং এর জন্য আমরা বিভিন্ন মেয়াদে তিন ধরনের মেরামত বাজেট করি।’
‘আমরা প্রত্যেক ঠিকাদারকে নির্মিত রাস্তার বিষয়ে তিন বছর পর্যন্ত তাদের উপর লায়াবেলিটি (দায়) রেখে দেই। এ তিন বছরের মধ্যে রাস্তার কোন ক্ষতি হলে তারা মেরামত করে দেবে। এটা বিশ্বের কোন দেশে নেই। কিন্তু আমরা এটা করি এটা থাকা উচিত, যাতে তাদেরও একটি বাধ্যবাধকতা থাকে।’ দুদকের প্রতিবেদনের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘গতকাল আমার হাতে এসেছে। সেখানে দুদক নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেনি। তবে এসব বিষয়ের যৌক্তিকতা আছে। এগুলো আমরা অস্বীকার করছি, তা নয়। বিষয়টি দেখে আমরা প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ গত বছরের বর্ষায় নষ্ট সব রাস্তা কেন এখনও মেরামত করা হয়নি-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘গত বছর যে কোনো বছরের চেয়ে অধিক পরিমাণে রাস্তা মেরামত করতে হয়েছে। কিছু কাজ হয়তো হয়নি। তবে এবার আমরা আরও বেশি প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে আগামী জুনের মধ্যে দেশের সব রাস্তা মেরামত শেষ করতে পারি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট ডিসেম্বর পর্যন্ত
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হওয়ার পরও কক্সবাজার যেতে ২২ ঘণ্টা সময় লাগার বিষয়ে সচিবের কাছে প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক। জবাবে সচিব বলেন, ‘হ্যাঁ আপনি সঠিক বলেছেন। এর মধ্যে আমি ওই রোডে চারবার যাতায়াত করেছি। গত তিনদিন আগেও আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কুমিল্লা যাওয়ার পথে পদুয়ার বাজারের আশপাশে তিনটি পয়েন্টে রেলওয়ে ফুট ওভারব্রিজ হচ্ছে। এ রোডে জায়গায় জায়গায় রিজিট টেডমেন্ট (উন্নয়নমূলক কাজ) করছি। ফলে ট্রাফিক চলা কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্যও যানজট লেগে যাচ্ছে।’ ‘আরেকটি বিষয় এখানে যুক্ত, সেটা হলো মেঘনা ও গোমতীতে ওয়েট স্কেল বসানো হয়েছে। সেখানে অধিক ওজনের জিনিসপত্র টেনে তুলে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। এ কারণে অনেক সময় গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে।’
‘তবে সুখবর হলো বাংলাদেশে এই প্রথম এই তিনটি ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা। যেটা এর আগে কখনও করা হয়নি। যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ এবছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এ সেতু নির্মাণ হলে সেতুর দুই পার্শে লেনের কাছে যানজট কমে যাবে।’
ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেনের অগ্রগতি ৬১ শতাংশ
ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেনের কাজ ৬১ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জানান সচিব। এই মহাসড়কে গাড়ির তীব্র চাপের কারণে টানা কাজ করা যায় না বলে বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সচিব বলেন, ‘ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালীগঞ্জের মীরেরবাজার এলাকায় এতো বেশি গাড়ির চাপ যে, রাত ১১টার আগে সেখানে কাজ শুরু করা যায় না। তারপরও টানা আধাঘণ্টা কাজ করলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। ফলে থেমে থেকে এভাবে কাজ করতে হচ্ছে বলেই সময় লেগে যাচ্ছে বেশি।’ ‘তবে এ রাস্তার ৬১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।’
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.