এবিএনএঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির গাড়িবহর যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, তখন পাশে দাঁড়িয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি সমর্থক কয়েকজন যুবক। গতকাল শনিবার বিকেলের ভারতের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু এরপর যা ঘটেছে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী বা নিরাপত্তারক্ষীরা- কেউই প্রস্তুত ছিলেন না। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্লোগান কানে যেতেই তৎক্ষণাৎ গাড়ি থামাতে বলেন মমতা ব্যানার্জি। নিজেই গাড়ির দরজা খুলে নেমে আসেন রাস্তায়। ততক্ষণে শ্লোগান দেওয়া যুবকরা অবস্থা বেগতিক বুঝে পিছু হঠতে শুরু করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেদিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে থাকেন, ‘কী রে, পালাচ্ছিস কেন? আয়, আয়! পালাচ্ছিস কেন?’
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘সব হরিদাস কোথাকার! গালাগালি দিচ্ছে!’ সেখানে থাকা লোকজন পুরো দৃশ্যটাই মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। আর নিমেষে তা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশ বিজেপি সমর্থক তিনজন যুবককে আটক করে। এরা প্রত্যেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। তবে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ ছাড়াই রোববার সকালে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘জয় শ্রীরাম’ শুনেই মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গাড়ি থেকে নেমে বিরোধী দলীয় সমর্থকদের দিকে তেড়ে গেছেন, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনিতেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানটি বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
বিজেপি তাদের সভা-সমাবেশে নিয়মিতই এই শ্লোগানটি দিয়ে থাকে - যা জনপ্রিয় হয়েছিল বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময়। কিন্তু এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য- প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমবঙ্গে এই শ্লোগানের মাধ্যমে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতা আমদানি করতে চাইছে। এ ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারাচ্ছেন। জয় শ্রীরাম শুনলেই তার জ্বর আসছে। আমাদেরও তো কত লোক গো ব্যাক, মুর্দাবাদ শ্লোগান দেয়। তাতে কি আমরা কিছু মনে করি নাকি?’ ওই জেলার বিজেপি নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যও বিবিসিকে বলেন, ‘জয় শ্রীরাম আমাদের একটা রাজনৈতিক শ্লোগান। আমাদের কর্মীরা তো সেটাই দেবেন, এর জন্য তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে নাকি?’ অন্যদিকে এই ঘটনায় যেহেতু তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম জড়িত, তাই দলের মুখপাত্ররাও কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেদিনীপুরের ওই ঘটনা নিয়ে বাদানুবাদ থেমে নেই। অনেকেই বলছেন, ‘জয় শ্রীরাম' শ্লোগান শুনতে তার যতই খারাপ লাগুক, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর মতো একটা সাংবিধানিক পদে আছেন তার গাড়ি থেকে নেমে ওভাবে তাড়া করে যাওয়া মোটেই উচিত হয়নি।’ এর মাধ্যমে তিনি ভোটের মৌসুমে বিজেপির হাতেই একটা অস্ত্র তুলে দিলেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।তৃণমূলের সমর্থকরা অনেকে আবার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে লিখছেন, ‘লড়াইটা যেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সেখানে মমতা একেবারে ঠিক কাজ করেছেন।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.