এবিএনএ : দেশ স্বাধীন করতে যাদের অবদান নেই, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে তারা দেশের জন্য কিছুই করবে না। বরং লুটপাট করে তারা দেশটাকে অারও ধ্বংস করবে। তাদের অার কোনোদিন ভোট দেবেন না বলে জনগণের কাছে দাবি রেখেছেন অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অান্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে অায়োজিত অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা অাবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এ দেশের জনগণ অার তাদের ভোট দেবে না। কারণ তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে। যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়া অান্দোলনের নামে ধংসাত্মক কর্মসূচি ডেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের দিয়ে অাগুন জ্বালায়-পেট্রলবোমা মারে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হুকুম দেয় খালেদা জিয়া অার পরামর্শ করে তার কুলাঙ্গার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে। যে শত শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিং করে বিদেশে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর টেলিভিশনে তার ভাঙা স্যুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জি দেখানো হয়েছে। এক সময় ভাঙা সুটকেস থেকে জাহাজ বেরিয়েছে কোকো-১, কোকো-২, ইন্ডাস্ট্রি বেরিয়েছে, এখন আবার দেখি শপিং মল বেরুচ্ছে, ফ্লাট বেরুচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বেরুচ্ছে। সিঙ্গাপুর কোর্ট ও আমেরিকার ফেডারেল কোর্টই তো বলেছে খালেদা জিয়ার ছেলেরা মানি লন্ডারিং করেছে। এটা তাদের কাছেই ধরা পড়েছে, যে টাকা আমরা উদ্ধার করেছি।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে অার কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। এটাই হবে অাজকের দিনের শপথ। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত একটি দেশ। আলোচনায় বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, নির্যাতন, ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা, গণহত্যা, এ দেশীয় দালাল, রাজাকাদের ভূমিকা, আলবদরদের বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, তাদেরকে এখন মদদ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া। আর এখন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্তদের ছেলেপুলেদের নিয়ে দল করছেন। মানিলন্ডারিং কেসে খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার বড় ছেলে (তারেক রহমান) সাত বছরের সাজা হয়েছে, ১০ ট্রাক অস্ত্র, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে এ দেশে যত অপকর্ম আছ, দুর্নীতির সাথে তারা জড়িত। আন্দোলনের নামে নাশকতায় তারেকই পরামর্শ দিয়েছেন খালেদা জিয়াকে। সোনালী ব্যাংকে কোকোর নামে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আছে। বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে ৯৫০ কোটি টাকা যারা লুটে নিয়ে গেছে, তারা আবার স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাবার, তারা আবার স্বপ্ন দেখে রাজনীতি করার।প্রথমে জিয়াউর রহমান এবং পরে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছেন অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই স্বাধীনতাবিরোধী, দুর্নীতিবাজ এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতাদেরকে এ দেশের জনগণ কখনও ভোটও দেবে না, তারা আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারের মুখোমুখি সব আসামিকে ছেড়ে দেন জিয়াউর রহমান। যে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার বা ভোটাধিকার ছিল না, তাদেরকে সে অধিকারও দিয়েছেন জিয়া। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে তারা মন্ত্রী বানায়, রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনীর নেতাদের। কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ উপদেষ্টা, কেউ মন্ত্রী। যারা রক্ত দিল, যারা যুদ্ধ করল তারাই যেন অপরাধী হয়ে গেল আর যারা হানাদার বাহিনীর দালালি করল, যারা গণহত্যা চালাল, যারা মা বোনদের পাকিস্তানের হাতে তুলে দিল তাদেরকেই ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া হলো। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আরও এক ধাপ ওপরে উঠল। এদেরকে নিয়েই তাদের দহরম মহরম। এদের হাতে তুলে দিল লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা, তাদেরকে বানাল মন্ত্রী। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তারা কী করে এটা মেনে নিতে পারে-জনগণের কাছে সে প্রশ্নও রাখেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন এখানে, স্বাধীনতার কথাও বলবেন, আবার যুদ্ধাপরাধীদের যারা মদদদানকারী, যুদ্ধাপরাধীদের যারা প্রশ্রয় দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের যারা মন্ত্রী বানিয়েছে এবং যাদের ফাঁসি হয়ে গেছে তাদের ছেলেপেলেদের নিয়ে দল গঠন করে, তাদের দলকে সমর্থন করেন কীভাবে? সেই দলের প্রতি অনুগত থাকেন কীভাবে?বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে খালেদা জিয়ার নির্দেশই আন্দোলনের নামে নাশকতা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, গাছ, কেটে ফেলা, রাস্তা কেটে ফেলা, কী না করেছে দেশকে ধ্বংস করার জন্য। আমরা গড়ে তুলি, ওরা ধ্বংস করে। এরা তো লুটেরা। এরা একদিকে যেমন যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীদের লালন পালন করেছে, দেশের শান্তি বিনষ্ট করেছে, তেমনি দেশকে উন্নয়নের পথ থেকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। এই দেশের আর্থ সামাজিক উন্নতি চাইলে, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন চাইলে যুদ্ধাপরাধীদের লালন পালনকারী, তাদেরকে মন্ত্রী বানানোদেরকে আপনারা ভোট দেবেন না।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.