এ বি এন এ : আমারা ছোট্ট জীবনে সুখের খোঁজ করি, সুখী হতে যা করতে পারি:
সঙ্গ উপভোগ
পরিবারকে সুখী, অর্থবহ এবং স্বার্থক করতে সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আনন্দ নিয়ে উপভোগ করুন। যখন সঙ্গী বাড়িতে আসে, তাকে হাসি মুখে ঘরে স্বাগত জানানো, বাইরে যাওয়ার সময় দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়া, এই ছোট বিষয়গুলোই পরিবারে সুখের আবেশ নিয়ে আসে।
গল্প করা
সারাদিন পর বাড়ি ফিরে শুধু টিভি না দেখে সঙ্গীর সঙ্গে গল্প করুন। সারাদিন কী করলেন এসব নিয়ে কথা বলুন, সঙ্গী কী করেন এটাও জানতে চান।
রিমোট শেয়ার করুন
অনেক পরিবারের কর্তা আছেন, সব চ্যানেলের সংবাদ দেখেন। তিনি যতক্ষণ থাকেন রিমোট তার হাতে। এটা ঠিক না, সঙ্গীরও কোনো পছন্দের অনুষ্ঠান থাকতে পারে। তাকে সুযোগ দিন এবং সে সময়টা আপনিও উপভোগ করুন।
একসঙ্গে খান
সঙ্গীর জন্য না খেয়ে অপেক্ষা করাটা যেমন আন্তরিকতা আর তাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রকাশ করে, তেমনি অপর সঙ্গীরও দায়িত্ব বাইরে দেরি না করে সময় মতো ঘরে ফেরা এবং সঙ্গীকে নিয়ে একসঙ্গে খাওয়া।
মিলন
বিয়ের কিছুদিন পরই অনেকের কাছে সম্পর্ক একঘেঁয়ে মনে হয়। এক্ষেত্রে নিজেদের মাঝে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হওয়াটাও কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার অন্যতম শর্ত। মিলনে শুধু নিজের নয় সঙ্গীর চাহিদা ও ইচ্ছার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।
বন্ধুর আগে পরিবার
বন্ধু অবশ্যই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে বন্ধুত্বের স্থান যেন পরিবারের আগে না হয়। সঙ্গীকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবারের প্রয়োজন আগে মেটাতে হবে, তবেই আমাদের ছোট ঘর সুখে ভরে উঠবে।
ঘরের কাজে সাহায্য করুন
একসঙ্গে রান্নাঘরে কিছুক্ষণ কাটাতে পারেন। সঙ্গী যখন রান্না করেন আপনি যদি তার পাশে থাকেন এতে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হবে। আর সঙ্গীর কাজও সহজ হবে।
নমনীয়তা
সঙ্গী সব কাজ ১০০ ভাগ পারফেক্ট করবে। এই আশা সব সময় পূরণ নাও হতে পারে। ছোট কোনো ভুলের জন্য সঙ্গীকে তিরস্কার না করে বুঝিয়ে দিন। সঙ্গীর সঙ্গে ব্যবহারে নমনীয় থাকুন, আর তার সিদ্ধান্তেরও মূল্য দিন।
ফোন করুন
দিনে কয়েকবার সঙ্গীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করুন। শুধু কাজের প্রয়োজনে নয়, এমনিতেই খোঁজ নিন। এতে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হবে না।
যা করা যাবে না:
অভিযোগ
সঙ্গী ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে দেরি হলো কেন বা প্রয়োজনীয় কোনো কিছু আনতে ভুলে যাওয়ার জন্য অভিযোগ করা ঠিক নয়। ভুলেও সঙ্গী সম্পর্কে বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে অভিযোগ করা যাবেনা।
তাচ্ছিল্য
অন্যের অবস্থান, পেশা বা স্বচ্ছলতা নিয়ে সঙ্গীকে তুলনা করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবেনা।
চিৎকার-চেচামেচি
ছেলে বা মেয়ে কেউই চিৎকার-চেচামেচি পছন্দ করে না। সঙ্গীর কোনো কিছু পছন্দ না হলে বুঝিয়ে বলুন। চেচামেচি করে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট করা যাবেনা। আর নিজেদের সম্পর্ককে অন্যদের সামনে হাস্যকর বানানো ঠিক নয়।
তৃতীয় ব্যক্তি
নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলুন। ব্যক্তিগত বিষয়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না।
কথায় কথায় আলাদা
সব সংসারেই মান-অভিমান, ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে। তবে ছোট ইস্যুগুলোকে বড় করে দেখে কথায় কথায় আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে চলে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই সামান্য সিদ্ধান্ত জীবনে অনেক বড় বিচ্ছেদের শুরুও হতে পারে।
পরিবারে সুখী হতে চাইলে প্রথমে আমাদের সঙ্গীকে সুখে রাখতে হবে। কিছুটা ছাড় দিতে শিখলেই আমরা পাবো সেই বহু কাঙ্ক্ষিত সুখের আঙিনা।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.