এবিএনএ : ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধের প্রস্তাব জাতিসংঘে পাসের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি দেশের দূতকে ডেকে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়া যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মিসর, উরুগুয়ে, স্পেন, ইউক্রেন ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইসরাইল। শুক্রবার ইসরাইলবিরোধী প্রস্তাব ভোটাভুটিতে পাস হয়। এক সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী নেতানিয়াহু অস্বাভাবিক এ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মার্কিন দূত ড্যান শাপিরোকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।
মার্কিন দূতকে ভর্তসনার ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন ইসরাইল জাতিসংঘের কার্যক্রমকে 'লজ্জাজনক' অবহিত করে প্রতিশোধ নেয়ার শপথ নিয়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবে ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে যে স্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলছে তার তীব্র নিন্দা করা হয়। তবে এ সময় ইসরাইলের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি পাস বন্ধ করতে কোনো ভেটো প্রয়োগ করেনি। আর এ বিষয়টিতেই চটেছেন নেতানিয়াহু। এদিকে ভেটো প্রদান না করায় ইসরাইল তার পরম মিত্র কিন্তু বসতি স্থাপনের সমালোচক যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভেটোর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যমতে ওবামা প্রশাসন প্রস্তাবটি প্রবর্তন করেছে। পাশাপাশি প্রস্তাবটি পাসের জন্য এর পাশে থেকে সকল ধরনের সমন্বয়ও সাধন করেছে। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, কিভাবে এক বন্ধু ওপর বন্ধুকে নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসরাইলি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডের জন্য নাখোশ ছিলেন। আর ইসরাইলও ধারণা করেছিল ওবামা প্রশাসনের শেষ কর্ম সপ্তাহে তাদের বিপক্ষে একটি পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের আশংকাই সত্যি হল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘে ইসরাইলবিরোধী প্রস্তাব পাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, জাতিসংঘে ইসরাইলবিরোধী প্রস্তাব পাসের কারণে দেশটির অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। এ ঘটনায় শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবে বলে ইসরাইলকে আশ্বাস দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.