এবিএনএ: কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে গুলি করা হয়না বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, কোন মাদক বিরোধী অভিযানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করলেই ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিজি প্রেস মাঠে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত 'মাদক বিরোধী সমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা চান তাদেরকে আইনি সহায়তা ছাড়াও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যথায় তালিকা ধরে দেশজুড়ে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
'বিনা বিচারে হত্যার' অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বিনা অপরাধে কাউকে গুলি করে না। আপনারা জানেন, যেখানে মাদক ব্যবসা রয়েছে সেখানেই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার। মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী খু্ঁজছে, তাদের কাছাকাছি গেলেই অস্ত্রের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেই মাদক কারবারীরা ফায়ার ওপেন করলেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে।’ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আশা করব মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে দেবেন। নয়তো আমাদের ব্যবস্থা চলতেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তিনি যা বলেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। মাদককে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা যে কোন মূল্যে রক্ষা করবো।’
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর জন্য যা যা করনীয় তার সব করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা জিরো টলারেন্সের কথা বলেই বসে নেই। প্রত্যেক জেলাতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস করা হয়েছে। আমরা আইন সংশোধন করেছি। যেখানে মাদকদ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই মোবাইল কোর্ট শাস্তি দিচ্ছে। বিজিবিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে যেন ইয়াবা প্রবেশ করতে না পারে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ইয়াবা প্রবেশ করছে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘অবস্থাসম্পন্ন যুব সমাজ সিসা বারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সিসার সঙ্গে তারা ইয়াবা সেবন করছে। তাই সিসা বারগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘এ অধিদপ্তর ঠুঁটো জগন্নাথ বা নিধিরাম সর্দারের অপবাদ কাটিয়ে উঠেছে। আগে ২ জেলাতে একটি অফিস ছিলো, এখন প্রতি জেলাতেই অফিস করা হয়েছে। ১৭ হাজার জনবলের অধিদপ্তরকে ৩২ হাজার ২২২ জনবল সমৃদ্ধ করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশে মাদকের অস্তিত্ব থাকবে না এবং মাদক না রাখার ঘোষণা দেন তিনি। মনরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মোহিত কামাল বলেন, ‘মাদক আমাদের বিবেককে ধ্বংস করে দেয়। মাদকের প্রভাবে বিবেকহীন শূণ্য জাতি গড়ে উঠবে। যুবসমাজের মৃত্যুর আগে মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে। তাই আন্দোলনটা শুরু করতে হবে ঘর থেকে।’ ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘ইয়াবা তিলে তিলে যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা আমরা বন্ধ করতে পারছিনা। ৭৫ লাখ মাদকাসক্তের মধ্যে ৮২ ভাগই তরুণ। মাদকের কারণে গত ১০ বছরে সন্তানদের হাতে ২০০ বাবা-মা নিহত হয়েছেন।’ ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে তিনি সকলকে মাদক বিরোধী শপথ পাঠ করান।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.