এবিএনএ : প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন না করায় এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছেন প্রায় দশ হাজার আলেম। আগামী ৮ নভেম্বর কলকাতার ধর্মতলায় রানি রাসমনি এভিনিউতে একটি পথসভায় হাজির হচ্ছেন এই আলেমরা। ঈমাম ও মুয়াজ্জিনদের প্রায় ৪০টি সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন এই সভায়।

অল বেঙ্গল মাইনরিটি ইউথ ফেডারেশন (এবিএমওয়াইএফ)-এর সাধারণ সম্পাদক মহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ঈমামদের ২৫০০ রুপি এবং মুয়াজ্জিনদের ১০০০ রুপি করে সাম্মানিক ভাতা চালু করেছেন। আমরা মনে করি যে, সাম্মানিক হিসাবে যে রুপি দেওয়া হয় তা অনেক কম। গত পাঁচ বছরে তা বাড়ানো হয়নি’। তিনি আরও জানান, ‘মাঝে একটা সময় ছয় মাসের জন্য এই সাম্মানিক বন্ধ হয়ে যায়, পরে সপ্তম মাস থেকে তা ফের চালু হয়। কিন্তু সেই রুপির কি হয়েছিল তা কেউ জানে বলে মনে হয় না’।

সংগঠনের কয়েকজন সিনিয়র সদস্যরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঈমামদের জন্য জমি ও বাড়ি দেওয়ার কথা বলেছিলেন এখনও পর্যন্ত কেউই তা পায়নি। অল বেঙ্গল ইমাম এন্ড মোয়াজ্জিন সমিতি’র সভাপতি এটিএম রফিকুল হাসান জানান, ‘মমতা ব্যানার্জি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ‘নিজো জমি নিজো গৃহ’ প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ইমামরা বাড়ি পাবেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন ইমাম তাদের বাড়ি পাননি। ৫২ হাজার ঈমামকে সরকারের তরফে যে রুপি দেওয়া হয় সেই প্রক্রিয়াতেও আরও গতি আনা দরকার’।

নাখোদা মসজিদের ইমাম শফিক কাসমি জানান, ‘ইমামদের জন্য যে ২৫০০ রুপি দেওয়া হয়, সেটা খুবই কম। ইমামদের জন্য এটা অন্তত ২০ হাজার এবং মোয়াজ্জিনদের জন্য ১০ হাজার রুপি করা উচিত’।

রমজানের ঈদের সময় কলকাতার রেড রোডে রাজ্যের সবচেয়ে বড় যে নামাজ আদায় করা হয় তার ঈমাম কারী ফজলুর রহমান জানান, ‘ক্ষমতায় আসার আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে ঈমামদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা’।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম সৈয়দ মহম্মদ নুরুর রহমান বরকতি জানান, ‘আমরা বলতেই পারি যে সরকারের এই বিষয়টিতে মনযোগ দেওয়া উচিত, কিন্তু আমি মনে করি না যে এই ধরনের দাবি করাটা খুব বিচক্ষণতার কাজ হবে।কারণ অর্থ সংকটের মধ্যে রাজ্য সরকার মুসলিমদের জন্য অনেক কিছু করছে’।