প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২১, ২০২৫, ২:১৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২১, ১:২৩ পি.এম
বিক্ষোভ উপেক্ষা করে অস্ট্রিয়ায় লকডাউন

এবিএনএ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন বিধিনিষেধ জারির বিরোধিতা করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ জাতীয় লকডাউন কার্যকর শুরু করেছে অস্ট্রিয়া। স্থানীয় সময় গত সোমবার মধ্যরাত থেকে অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ বাড়ার হার ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরোপ করা হচ্ছে নতুন বিধিনিষেধ। আর এসব কড়াকড়ির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছেন নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ। নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এর মধ্যেই গত সোমবার রাত থেকে লকডাউন কার্যকর করেছে অস্ট্রিয়া। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটিতে ঘোষিত চতুর্থ দফা লকডাউন এটি। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন লকডাউন কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে সব রেস্তোরাঁ, বার, সেলুন ও থিয়েটার বন্ধ থাকবে। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোই খোলা থাকবে। তবে অস্ট্রিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ দিন পর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে তারা।
শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. আন্স ক্লুজু বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউরোপজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ না করা হলে আগামী বসন্ত নাগাদ আরও পাঁচ লাখ মানুষ করোনার সংক্রমণে মারা যেতে পারেন। গত সপ্তাহে করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আইন পাস করেছে অস্ট্রিয়া। ফেব্রুয়ারি থেকে আইনটি কার্যকরের কথা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ জার্মানির রাজনীতিবিদেরাও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করছেন।
লকডাউন কার্যকর হওয়ার আগে এর বিরোধিতা করে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় অস্ট্রিয়ায় টিকা নেওয়ার এ হার অনেক কম। নভেম্বর থেকে দেশটিতে টিকা দেওয়ার সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে বেড়েছে। তবে এরপরও কারও কারও মধ্যে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধা রয়েছে। অস্ট্রিয়া ছাড়াও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে করোনার বিধিনিষেধের বিরোধিতায় কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের প্রাণকেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও বিনোদনকেন্দ্রে টিকা পাস ছাড়া ঢুকতে না দেওয়ার নিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। ব্রাসেলসের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও পটকা ছুড়ে মারলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুড়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে নেদারল্যান্ডসে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এদিন রুজেনডাল শহরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই শহর থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবেও হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। সরকারি কর্মীদের কর্মস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকা বাধ্যতামূলক করায় ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে প্রায় এক হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ফ্রান্সের গুয়াদলুপ দ্বীপপুঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। রোববার ওই দ্বীপ এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.