এবিএনএঃ বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হুমকি দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ অবাক হয়েছে। রাজশাহীর এক বিএনপি নেতা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিলেও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল একটা কথাও বলেননি। বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা একটা কথাও বললেন না। সবাই চুপ করে আছেন। তাই আজকে প্রশ্ন জাগে, এটা তার (রাজশাহীর বিএনপি নেতা) এক দফা নয়, এটা বিএনপির এক দফা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। এটাই তাদের এক দফা। ১৪ বছরে জনগণের সাড়া না পেয়ে শেখ হাসিনাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের পথে নেমেছে বিএনপি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের মানুষ বুঝিয়েছে পঁচাত্তর আর ২০২৩ এক নয়। বিএনপির উপলব্ধি করা উচিত, রাজশাহীর এক নেতা হুমকি দেওয়ায় সারা দেশ গর্জন করে উঠেছে। শেখ হাসিনার ওপর হামলা করলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। শেখ হাসিনা, আপনি একা নন, বাংলাদেশের জনগণ আপনার সঙ্গে আছে, সমগ্র বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী বিপদে আপদে আপনার সঙ্গে আছে।’
মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আপনারা বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার লীলাভূমিতে পরিণত করবেন, অস্ত্রপাচার-লুটপাট, গণতন্ত্রের হত্যার জন্য এই শ্যামল বাংলাদেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান বানানোর যে দুঃস্বপ্ন আপনারা দেখছেন, সেই পথের বাধা শেখ হাসিনা, তাকে হত্যা করে আপনারা স্বপ্নের বাংলাদেশ (আফগানিস্তান) বাস্তবায়ন করতে চান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় সংঘাত, অস্থিরতা, অশান্তি, রক্তপাত। আমরা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা কারও সঙ্গে সংঘাত-পাল্টা সংঘাতে যাব না। আমরা এই অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এজন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নেত্রীর নির্দেশ- সংঘাতে যাওয়া যাবে না। আমরা সংঘাত করব না, কিন্তু সংঘাত আসলে চুপ করে বসে থাকব? কেউ যদি গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে চুপচাপ থাকব? আঘাত এলে পাল্টা আঘাত দিব না?’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কথায় কথায় আপনারা মাথা গরম করবেন না। এই অপশক্তিকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। যদি কেউ নির্বাচন প্রতিরোধ করতে আসে, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে, জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ করব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে। আমি সরকারি দলের সেক্রেটারি বলছি, দুই দিন পর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। আগামীতে জাতীয় নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমরা বিদেশিদের অনুরোধ করব, আপনারা আসুন এবং দেখুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কিভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির। বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.