এবিএনএ : ভিশন ২০৩০ ঘোষণার আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বিএনপি নেত্রীর ঘোষিত ভিশন ২০৩০ অনাকাঙ্খিত এবং একটি অপ্রাসঙ্গিক নকল ভিশন। এটি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার এবং কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় পৌঁছে দিয়েছিল। তাদের আমলে বাংলাদেশ বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা মানায় না।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ৯১ দিন হরতালের নামে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পেট্রোল বোমা মেরে ১৬০ জন নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে। এই অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া উচিৎ। বিএনপি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর মহাপরিকল্পনা নিয়ে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিএনপি অতীতে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে। এ কারণে তারা ভুল শুধরে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নেবে। এরই অংশ হিসাবে বিএনপি ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই ভিশন দিয়ে শুরুতেই তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষেকে সঙ্গে নিয়েই আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মাসুদুল হাসান, সৈয়দ বসারত আলী, সামছুদ্দিন আজাদ, আবুল মনসুর খান, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাছিব মামুন, সোলায়মান আলী, মাহবুবুর রহমান টুকু, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, মোর্শেদা জামান, শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, শাহীন আজমল, আব্দুর মালেক, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, সাখাওয়াত বিশ্বাস, নূরুজ্জামান সরদার, দরুদ মিয়া রনেল, শিবলী সাদেক, মো. সাইফুল্লাহ প্রমুখ।