এবিএনএ: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন আর্ল রবার্ট মিলার। বর্তমানে তিনি আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মিলার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হবেন। শনিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বলছে, ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন আর্ল রবার্ট মিলার। তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশের আগে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আর্ল মিলারকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিতে হবে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইতোমধ্যেই আর্ল রবার্ট মিলারের নাম ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১৮ জুলাই এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আর্ল রবার্ট মিলারকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করার পরিকল্পনা করেছেন। মার্কিন মেরিন কোরের প্রাক্তন কর্মকর্তা মিলার পররাষ্ট্র দপ্তরের হয়ে কাজ করছেন ১৯৮৭ সাল থেকে। আর ২০১৪ সাল থেকে তিনি আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় রাষ্ট্রদূতের পালন করছেন। রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়ার আগে মিলার ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পর মিলার যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোরে। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি মেরিন কোরে এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত মেরিন কোর রিজার্ভে অফিসার পদে ছিলেন। প্রসঙ্গত, সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব পালন করছেন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট।