এবিএনএ : ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, বাংলাদেশে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় কম। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ‘মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত মাসের শুরু থেকেই ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতালে খোঁজ নিলে মৃত্যুর সংখ্যাটি বেশিই আসে। আবার আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও আছে দুই ধরনের পরিসংখ্যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে কেবল জুলাই মাসেই রেকর্ড ৬ হাজার ৪২১ জন হাসপাতালে গেছে। তবে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত তথ্য বলছে, আক্রান্তের সংখ্যাটি সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণে না থাকার অর্থ হলো আমরা হাল ছেড়ে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণে নেই মানে সরকার মনে করছে তার কাজ করার কিছু নেই। এটা ঠিক নয়।’
মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। হয়তো আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছি না এবং যে মৃত্যু হচ্ছে তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’ তবে তাজুলের দাবি, অন্যান্য দেশের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যাটি কম। বলেন, ‘গত বছর আমাদের ২৮ জন মারা যাওয়ার রেকর্ড আছে। থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত একশর বেশি মারা যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। ফিলিপিন্সে সাড়ে চারশ মানুষের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। সিঙ্গাপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী প্রায় ৪০-৫০ জন মানুষ মারা গেছে।’ ‘এডিস মশা এই মৌসুমে এশিয়ায় ব্যাপকতা লাভ করে। ফিলিপিন্সে, থাইল্যান্ডে এবং সিঙ্গাপুরে, ভারতে সব জায়গায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌসুমী রোগ হিসেবে এটি এই সময়ে বৃদ্ধি পায়। সেপ্টেম্বরের পর থেকে এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।’
দুই সিটি করপোরেশন মশা মারার যে ওষুধ ব্যবহার করে তার কার্যকারিতা নিয়ে উঠা প্রশ্নও উড়িয়ে দেন মন্ত্রী। আইসিডিডিআরবির একটি গবেষণা বলছে, মশা মারায় ব্যবহার করা মূল উপাদান পারমেথ্রিন এখন আর কাজ করছে না। পরীক্ষায় মশার পারমেথ্রিন, ডেল্টামেথ্রিন, টেট্রামেথ্রিন, ম্যালাথিয়ন প্রতিরোধী হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে আইসিডিবিআরবির গবেষণায় ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যা ব্যবহার করা হচ্ছে তা কার্যকরী ওষুধ এবং এখানে কোনো সমস্যা নাই।’
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.