এবিএনএ: ‘রাজাকাররাও আসলে যোদ্ধা, কারণ তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। আমরা শঙ্কার মধ্যেই আছি, মির্জা ফখরুল কখন আবার সেই রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন। তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাটা কী, আমি জানি না। কারণ বেগম খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা বানাতে চাইছেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন, সেই শঙ্কায় আছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টেই পাকিস্তানিদের আতিথেয়তায় ছিলেন। এখন হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আবিষ্কার করলেন খালেদা জিয়া নাকি নারী মুক্তিযোদ্ধা!’
বিএনপি মহাসচিবের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের কোন প্রচলিত আইন বলে সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে, সেনাবাহিনীর ড্রেস পরে, রাজনীতি করেছিলেন, বিএনপি গঠন করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সাহেব যদি সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে দল গঠন করতে পারেন, রাজনীতি করতে পারেন, আবার রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারেন, তাহলে পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনার এই উদ্ভট কথার প্রতি উত্তরে যদি কিছু বলে থাকেন, সেটি যথার্থই বলেছেন। একটি অসত্য উদ্ভট কথার জবাবে প্রত্যেক নাগরিকেরই বলার অধিকার আছে।’
সরকার বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেন। কোনো কিছু হলেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলেন। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব নিজে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসম্যানদের কাছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকারের ভিত জনগণের মধ্যে। এখানে কাউকে বিদেশিরা ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বলিয়ান, আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। বিদেশিদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে দৌড় দেয় বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা হয়, সেগুলো আমরা সবসময় কঠোর হস্তে দমন করেছি। কে হিজাব পরবেন বা পরবেন না সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সুতরাং এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন সেটি আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো।’
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া নতুন থানা স্থাপন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী এখানে থানা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। প্রশাসনিক অন্যান্য ধাপগুলো অতিক্রম করে আজ থানার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার অন্য অংশের সঙ্গে কর্ণফুলী নদী দ্বারা দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া বিভক্ত। এই এলাকায় ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে এসে এখানে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতো। অপরাধীরা এখানকার পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যেতো। সে কারণেই এখানে থানা স্থাপন করা অত্যন্ত দরকার ছিল, স্থানীয়দেরও দাবি ছিল।’
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.