এবিএনএ: কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারী সবাইকে ফোন করে রিটার্ন দাখিলের জন্য বাধ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে ৪৬ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেছেন ২২ লাখ। যারা এখনও রিটার্ন দাখিল করেননি, তাদের করাঞ্চলের কর্মকর্তারা ফোন করবেন। আগামী জানুয়ারি থেকে রিটার্ন দাখিল না করা প্রত্যেক টিআইএনধারীকে ফোন দেবেন। তাদের রিটার্ন দাখিল করতে বলবেন। যারা আয়কর দেয়ার যোগ্য তাদের করসহ রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করা হবে।’
‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ স্লোগানে এবারও এনবিআর ১০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস’ ও ১০-১৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন করবে। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২২ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেছেন। এর মধ্যে নতুন বেড়েছে দুই লাখ। নতুন-পুরোনো আরও ৫০ হাজার কোম্পানি রিটার্ন দাখিল করবে। সব মিলিয়ে চলতি বছর নতুন আড়াই লাখ রিটার্ন দাখিলকারী যুক্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন স্তরে যেমন- ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এত কিছু করার পরও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব না আসা দুঃখজনক। এখন থেকে যেসব টিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন ব্যবসায়ীদের প্রতি এনবিআর নমনীয় ছিল। এখন থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। তবে কঠোর হওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই লাখ ২০ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হয়েছে। তার মধ্যে ভ্যাট থেকে রাজস্ব এসেছে ৭৮ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা, যা মোটা আহরিত রাজস্বের ৩৯ শতাংশ বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাট আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ১৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্বের ৩৬ ভাগ। বছর শেষে এনবিআর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মোশাররফ হোসেন।
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) সম্পর্কে তিনি জানান, এই অর্থবছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ ইএফডি মেশিন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কারণ এই মেশিন আমদানি করতে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা সময় লাগলেও ঘোষিত সব পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
রাজস্ব আহরণের তথ্য তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা কম। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে কাস্টমসে রাজস্ব আদায় প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ। ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ইনকাম ট্যাক্স আহরণের প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতি বছরই আমরা ব্যবসায়ীদের প্রচুর পরিমাণে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। বিশ্বের কোনো দেশে কাস্টমস থেকে আহরিত শুল্কের পরিমাণ এত বেশি নয়। বাংলাদেশে মোট রাজস্বের ২৮ শতাংশ আসে কাস্টমস থেকে। যাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারে। কিন্তু এর পরেও যখন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, তখন আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.