এবিএনএ : ভারতের ধর্ষক ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিমের পালিতা কন্যা হানিপ্রীত ইনসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখন পর্যন্ত তেমন কিছু জানা যায়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ।সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হানিপ্রীত।
খবরে বলা হয়, টানা ৩৮ দিন লুকোচুরি খেলার পরে গত কালই চণ্ডীগড় থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে জিরাকপুর-পাটিয়ালা হাইওয়ে থেকে ‘পাপা কি পরি’ হানিপ্রীত ও তাঁর এক মহিলা সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে হরিয়ানা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর টয়োটা ইনোভা গাড়িটিও। পরে তাঁকে পঞ্চকুলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর কেটে গেছে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রিয় ‘হানি দিদি’র সঙ্গে দেখা করতে আসেননি ডেরা-অনুগামীরা!তাঁরা না এলেও হানিপ্রীতের সঙ্গে এদিন সেক্টর ২৩ থানায় দেখা করতে এসেছিলেন মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবী মোমিন মালিক। তাঁর বক্তব্য, ‘হানিপ্রীতের এই মামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর হানিপ্রীত তো দেশেরই মেয়ে! তাই আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করে ওঁর হয়েই এই মামলা লড়তে চাই।তবে পুলিশের অনুমতি না মেলায় দেখা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে মোমিনকে।এদিকে গ্রেপ্তারের পর চণ্ডীমন্দির থানায় হানিপ্রীতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) এবং মহিলা পুলিশ অফিসারেরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, এত দিন হানিপ্রীত কোথায় গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন এবং ডেরা-অনুগামীদের তাণ্ডবে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু জেরায় তার সঠিক জবাব দেননি হানিপ্রীত। বরং সেই প্রশ্নগুলিকে এড়িয়ে গিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তিনি। পুলিশ জানায়, সাড়ে চার ঘণ্টার এই জেরা-পর্ব চলাকালীনই হানিপ্রীত বুকে ব্যথার কথা জানালে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি।এরপর হানিপ্রীতকে আজ পঞ্চকুলার একটি আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত চত্বরে জোরদার নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল। শুনানির সময় সরকারি আইনজীবীরা জানান, হানিপ্রীত গুরমিতের সব থেকে ঘনিষ্ঠ। তাই ডেরায় যা হতো, সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি।২৫ অগস্ট পঞ্চকুলা, সিরসা-সহ হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হানিপ্রীতের। তাই আইনজীবীরা তাঁর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু হানিপ্রীতের কৌঁসুলিরা এর বিরোধিতা করেন। আদালত হানিপ্রীতের ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।তবে হানিপ্রীত এতদিন কোথায় ছিলেন, তার সদুত্তর মেলেনি। এক সূত্রের দাবি, ডেরার নির্দেশেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন হানিপ্রীত। লুধিয়ানা থেকে বানুরে পালিয়ে একটি রিসর্টেই উঠেছিলেন। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন হানিপ্রীত।এদিকে, যে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাবাসের সাজা পেয়েছেন গুরমিত, তাঁরা আজ ডেরা প্রধানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.