এবিএনএ: খাদ্যাভাসের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে এখন অধিকাংশ পুরুষই দৈহিক শক্তির অভাবে ভুগছেন। সেক্ষেত্রে দৈহিক শক্তি বাড়াতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ওষুধই তাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু এই শক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিক খাদ্য অনেক বেশি কার্যকরী। বিবাহিত জীবনে ফিট থাকতে হলে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর দৈহিক সম্পর্ক। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত।গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখলে এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করলে দৈহিক দুর্বলতায় ভুগবেন না। চলুন তাহলে জেনে নেই শক্তি বাড়াতে আরো যা খাবেন-

রসুন: আপনার দৈহিক কোনো সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রাচীনকাল থেকেই নারী-পুরুষের দৈহিক শক্তি বাড়াতে রসুনের পুষ্টিগুণের কথা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামে এক ধরনের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

ডিম: দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে অসাধারণ কাজ করে ডিম। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ খান। এতে আপনার দুর্বলতার সমাধান হবে।

চকলেট: চকলেটে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক।

ভিটামিন সি জাতীয় ফল: স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি দৈহিক ক্ষমতা বাড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এর মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি।

দুধ: যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য দেহের শক্তির উন্নতি ঘটায়। যেমন, দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। তবে অধিকাংশ মানুষই এখন ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চাযন। কিন্তু যদি দৈহিক শক্তির হরমোন বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে এগুলো হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।

মধু: দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবাই কম-বেশি জানি। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।

গরুর মাংস: গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

কলা: কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম দৈহিক শক্তি বাড়ায়। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে ক্লান্তি আসবে না।