এবিএনএ : ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সিঙ্গাপুরের সেন্টোসা দ্বীপের পাঁচতারা 'ক্যাপেলা' হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা) শুরু হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত এ বৈঠক। এর আগে গত প্রায় সাত দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বসেননি। গতকাল সোমবার বৈঠকের আগের দিন দুই দেশের গণমাধ্যম ও কর্মকর্তাদের মনোভাব ছিল বেশ ইতিবাচক। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের সঙ্গে নৈশভোজের পর ট্রাম্প বলেন, 'আমার কাছে মনে হচ্ছে, সব কিছু সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।' এরপর গতকাল সকালে এক টুইটার বার্তায় তিনি লেখেন, 'বাতাসে উত্তেজনার আভাস'। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের সবচেয়ে তিক্ত উত্তরসূরি বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার বিরোধকে। অনেকের প্রত্যাশা, ট্রাম্প-উনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেই তিক্ততার আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটবে।
দুই দেশই আশাবাদী, এ বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের শত্রুতা দূর করবে; স্থায়ী শান্তির পথ দেখাবে কোরীয় উপদ্বীপে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে মতপার্থক্য, তা দূর করে একটা চুক্তিতে পৌঁছানো ট্রাম্প ও উনের জন্য খুব কঠিন কাজ হবে।যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দাবি হলো, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে পুরোপুরি সরে আসতে হবে। অন্যদিকে উন নিজে ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা এবং উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। উন এখন পর্যন্ত একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি 'পরমাণু অস্ত্রমুক্ত কোরীয় উপদ্বীপ' চান। যদিও 'পরমাণু অস্ত্রমুক্ত কোরীয় উপদ্বীপ' শব্দ চারটির কারণে উনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিতর্কের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এএফপির খবরে বলা হয়, বৈঠকের আগ মুহূর্তে দুই দেশের কর্মকর্তারা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে নিজেদের মতপার্থক্য কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধ কয়েক দশকের। বিরোধের মূলে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি। এই বিরোধের বরফ গলা শুরু হয় দক্ষিণ কোরিয়ায় সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অলিম্পিক আসরকে কেন্দ্র করে। ওই আসরে খেলোয়াড়সহ বড় একটি প্রতিনিধিদল পাঠায় উত্তর কোরিয়া। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল পিয়ংইয়ং গিয়ে কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই প্রতিনিধিদলের মাধ্যমেই ট্রাম্পকে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানান কিম। আর সেই আমন্ত্রণের সূত্র ধরে আজ এক টেবিলে বসেছেন ট্রাম্প ও উন।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.