এবিএনএ : ইরানের সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির গাড়িবহরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও তাকে হত্যার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ। এর প্রতিশোধ সরূপ ইরাকের দুইটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করা না হলেও প্রায় ৮০ জন মার্কিন সৈন্য নিহতের দাবি করেছে ইরান। তবে উভয় পক্ষই তাদের হামলার পর 'যুদ্ধ চাই না' বললেও ইতোমধ্যে এই দুই দেশের মধ্যে চলছে যুদ্ধের পূর্ববর্তী অবস্থা।
এর আগে গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিদের্শেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। তিনি ইরাকে রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন, যার পিছনেও হাত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ইরানের এই বীর পান শহীদের খেতাব। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকের দুইটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। ফলে নতুন করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় ট্রাম্প যেন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে না পারেন, সেজন্য তার যুদ্ধ ক্ষমতা কমিয়ে আনতেই এই ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। আল-আনবার প্রদেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি দুটি হলো, আল-আসাদ ও আরবিল। ইরান বলছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ জন সেনা মারা গিয়েছে। ইসরাইলের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ২২৪ জন মার্কিন সেনাকে তেল আবিব নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। ইরাকের একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন বিমান ঘাঁটি আল-আসাদে থাকা রাডার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। জঙ্গি-বিমান, ড্রোন ও হেলিকপ্টারসহ সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইরাকের যে অঞ্চলে মার্কিন এবং যৌথ বাহিনীর সেনাঘাঁটি রয়েছে তার মধ্যে দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রায় এক ডজন ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান। এটিকে তারা ‘আমেরিকার গালে থাপ্পড়’ বলে মন্তব্য করেছে। এদিকে ঐ হামলার পর ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা গ্রিন জোনে ফের রকেট হামলা হয়। বুধবার রাতে দুটি রকেট হামলা চালানো হয়।
তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, অপরাধযজ্ঞের চূড়ান্ত জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পা কেটে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিনি শেকড় উপড়ে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসকে পাঠানো চিঠিতে ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরেও ইরাকের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতাকে সম্মান করে ইরান। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। তবে শেষপর্যন্ত যুদ্ধে না জড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে যে কোনো সময় ট্রাম্প যেন যুদ্ধে জড়াতে না পারেন সেজন্য তার যুদ্ধ-ক্ষমতা কমানোর সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.