এবিএনএ : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মূলধারার টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে উত্তরণকালীন সময়ে দুর্বলতাগুলি নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগিদেরকে টেকসই ‍উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বল্প উন্নত এবং সাম্প্রতিক এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ দেশগুলোকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা দরকার। মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান। তিনি বলেন, গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এসডিজির অগ্রগতি আলোকে শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (হাইলেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম তথা এইচএলপিএফ)-এ স্বল্প উন্নত দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা প্রদানকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বল্প উন্নত দেশগুলো অত্যন্ত দুর্বল এবং বিভিন্ন ধরনের অভিঘাত ও সংকটের সম্মুখীন হতে হয় যেগুলো পরিবেশ ও জলবায়ুর সাথে সম্পৃক্ত। সম্পদের সদ্ব্যবহার ও কারিগরি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতি স্থাপন করে যেকোনো অভিঘাতের বিরুদ্ধে টিকে থাকাতে সব পর্যায়ের প্রচেষ্টাকে উজ্জীবিত করার জন্য তিনি বিশ্ব সমাজকে আহ্বান জানান। আইএমএফ এর একটি প্রতিবেদন উল্লেখপূর্বক, বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্ব ঋণ দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। যা বর্তমানে ১৬৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি সমগ্র বিশ্ব জিডিপির শতকরা ২২৫ ভাগ। এটি ২০০৯ এর তুলনায় শতকরা ১২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের ক্রমবর্ধমান বিশ্ব ঋণের ফলে বেকারত্ব, পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি এবং স্পল্প উন্নত দেশগুলোর জন্য অন্যান্য প্রতিকূল অবস্থার সাথে বিশ্বব্যাপী মন্দা ফিরে আসতে পারে। উন্নত দেশগুলোও তাদের আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। বিশেষ করে কিছু উন্নত দেশের অভ্যন্তরীণমুখী ও সংরক্ষণশীল বাণিজ্য নীতির কারণে অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এখন হুমকির সম্মুখীন। বিশ্বায়নের বিরুদ্ধ যেসব চিন্তা-ভাবনা স্বল্প উন্নত দেশগুলোকে সর্বাধিক ক্ষতি করবে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ এবং উদীয়মান অর্থনীতি বিভিন্ন দিক থেকে বর্ধিত ঋণ বোঝা, কম পরিমাণ ওডিএ এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে অন্যান্য বাধাসহ গুরুতর হুমকির মোকাবিলা করছে। এ বিষয়ে বিশ্ব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে একটি সুন্দর বিশ্বের জন্য।