এবিএনএ : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ দিন ধার্য করেন।
দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান, জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট রাশেদা আলম প্রমুখ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
শুনানির শুরুতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদকে জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পর দুই মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানি শুরু হয়।
ওই সময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার আদালতের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে এবং এটি একটি বেঞ্চে কার্যতালিকায় শীর্ষে আছে, সে জন্য বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। তবে দুদকের আইনজীবী এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রথমে ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী। এই দিন খালেদা জিয়া ও আইনজীবীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন। তাই সময় বাড়াতে হবে। এসব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে এ দুটি মামলায় হাজিরা দিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বেলা ১১টার কিছু আগে তিনি আদালতে পৌঁছান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.