এবিএনএ: এক যুগ ধরে লালন করা স্বপ্ন অবশেষে বাস্তব হলো ফরচুন বরিশালের। এ যেন এক রূপকথার গল্প। রোমাঞ্চকর বিপিএলগল্পের সব পর্বকে ছাড়িয়ে অন্যরকম এক পর্বের বাস্তব রূপায়ণই যেন দেখালো তামিম ইকবালের বরিশাল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মতো শক্তিশালী দলকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জেতার স্বাদ, এ যেন অন্যরকম অনুভূতি বরিশালের। বিপিএলে এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি শিরোপা। অবশেষে বরিশালের সেই হাহাকারের আনন্দময় সমাপ্তি হলো তামিমের হাত ধরে।
দারুণ এই জয়ে স্বপ্নপূরণ হয়েছে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহর মতো তারকাদের। এক যুগ ধরে শিরোপা ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষার করছিলেন বাংলাদেশের এই বড় দুই তারকা। আজ শেরে বাংলা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেষ হলো তাদের সেই অপেক্ষার প্রহর।
ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে হলেও অন্তত একবারের জন্য শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পেরেছেন ভায়রা ভাই মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদুল্লাহ তো ব্যাট হাতে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন। যে কারণে, বিপিএলে নিয়ে আর কোনো আফসোস হয়তো থাকবে না এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের।
কুমিল্লার দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে ৬ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে বরিশাল। পুরো ম্যাচেই ছিল দাপট। শেষে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই মাহেন্দ্রক্ষণের অবতারণা ঘটালো বরিশাল। তামিমের দলের হাতে তখনও বাকি ছিল আরও এক ওভার।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মঈন আলিকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৯ রান করেন তামিম। ২৬ বলে ২৬ রান করে জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ দিয়ে মঈনের দ্বিতীয় শিকার হন মিরাজ।
৩০ বলে ৪৬ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। এছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ১৮ বলে ১৩ রান। শেষে মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ৭ ও ডেভিড মিলারের ৮ রানের সুবাদে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশল।
এর আগে ফাইনাল ম্যাচ হাইস্কোরিং হবে, এমনটিই আশা করছিলেন গ্যালারিভরা দর্শকরা। আন্দ্রে রাসেল মাঠে নামার আগে মনে হয়েছে দর্শকদের সেই প্রত্যাশা পুরোপুুরি পূরণ করতে পারবে না কুমিল্লা ।
তবে শেষ পর্যন্ত গ্যালারিতে বলে রাসেল-শো উপভোগ করেছেন দর্শকরা। শেষ ৩ ওভারে ঝড় তুলে কুমিল্লাকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন রাসেল। শেষের রোমাঞ্চে ৬ উইকেটে ১৫৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় জীবন পান কুমিল্লার ওপেনার সুনিল নারিন। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে কাইল মায়ার্সের বলে থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেখানে ফিল্ডিং করা ওবেদ ম্যাকয় সহজ ক্যাচটি ফেলে দেন।
তবে জীবন কাজে লাগাতে পারেননি নারিন। মাত্র ১ রান যোগ করে (৪ বলে ৫) মায়ার্সের বলে সেই ম্যাকয়ের হাতেই ধরা পড়েন ক্যারিবীয় ব্যাটার।
পরের তিন ব্যাটারও রান পাননি। ১০ বলে ১৫ রান করে জেমন ফুলারের বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরত যান তাওহিদ হৃদয়। ১২ বলে ১৬ রান করা কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস।
এরপর মাহিদুল হাসান অঙ্কনের ব্যাটে চড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় কুমিল্লা। ৩৫ বলে ৩৮ রান করে সাইফুুদ্দিনের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩ রান করে অপ্রত্যাশিত রানআউটের শিকার হন মঈন আলি।
শেষ দিকে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রাসেল। ১৪ বলে ২৭ রান নেন তিনি। হাঁকান ৪টি ছক্কা। বাকি ৩ রান দৌড়ে নেন এই ক্যারিবীয়। এছাড়া জাকের আলির ২৩ বলে ২০ রানের সুবাদে লড়াই করার মতো একটি পুঁজি পায় কুমিল্লা।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কাইল মায়ার্স। বল হাতে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট। ব্যাট হাতে খেলেন ম্যাচ জেতানো ৪৬ রানের ইনিংস।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.