এবিএনএ : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্কে ২৬ এপ্রিল মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০-এর নিচে নেমে এসেছে। এদিন রাজ্যে মৃতের তালিকায় ৩৬৭ জনের নাম যুক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৬ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন-জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের বাবা আবদুন নুর খান, নিউইয়র্ক নগরীর ট্রাফিক বিভাগের সুপারভাইজার আহসান মোহাম্মদ ও ওয়াশিংটন ডিসিতে খাদিজা বেগম । এ নিয়ে আমেরিকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০১ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো।
তবে হাসপাতালে ভর্তি, ভেন্টিলেশনে যাওয়া ও মৃতের হার ক্রমাগত কমার দিকে হলেও দিনে ১০০০ করে নতুন রোগীর হাসপাতালে আগমন ঘটছে। এ বিষয়টা মোটেই সুখকর নয় বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। করোনাভাইরাসে রাজ্যের ১৭ হাজার মানুষ হারিয়ে ধাপে ধাপে সব কিছু খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে নিউইয়র্কে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নাকাল হতে থাকা নিউইয়র্ক হুট করেই খুলছে না। গভর্ণর কুমো ধাপে ধাপে খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। প্রথম ধাপে নিউইয়র্কের ওয়েস্টচেষ্টার এলাকা ১৫ মে থেকে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজ্য গভর্নরের বিস্তারিত নির্দেশনা এ সপ্তাহেই আসবে।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কানেকটিকাট মিলে লকডাউন উঠিয়ে দেওয়ার কৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত জারি থাকা লকডাউন চালু থাকবে। এর মধ্যে আসছে দুই সপ্তাহ কঠোর পর্যবেক্ষণ করা হবে। অর্থনৈতিক কৌশল ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের কৌশলকে মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে বলে নিউইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সাবধানতা অবলম্বন করে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কৌশল ঠিক করবে।