এবিএনএ : গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পালিয়ে যাওয়া সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাতকড়া না পরানোয় আদালতে ক্ষোভ জানিয়েছেন আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলার বাদী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন এই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, অন্য আসামিদের প্রতি পুলিশ সদয় থাকবে কি না।
রবিবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে তোলে পুলিশ। তাকে গাড়ি থেকে নামানোর পর চার পাশ থেকে ঘিরে আদালতে নেয়া হয়। এমনিতে পুলিশ আসামিদের হাতকড়া বা কোমরে দড়ি পরিয়ে নিলেও মোয়াজ্জেমের গায়ে হাতই দেয়নি। উল্টো তার বেশভুষা ছিল পরিপাটি। চোখে ছিল রোদ চশমা। আর এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলের মামলার বাদী সুমন। পরে সাংবাদিকদের সুমন বলেন,‘ওসি মোয়াজ্জেমকে হাতে হাতকড়া দিয়ে আনা হয়নি। সে বিষয়ে পুলিশ ভালো জানেন কেন আনেননি। তবে পুলিশ ভাইয়দের কাছে অনুরোধ করে বলেন, অন্য আসামিদের বেলায়ও যেন একই ট্রিটমেন্ট করা হয়।’
ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযো, ফেনীর সোনাগাজীতে পুড়িয়ে হত্যা করা কিশোরী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও জবানবন্দী বেআইনিভাবে রেকর্ড করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তিন সপ্তাহ আগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আত্মপোপনে যান মোয়াজ্জেম। ২০ দিন পর ধরা পড়েন তিনি।
ওসির এই পালিয়ে যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের। বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম আইনের মানুষ হয়ে কেন পলাতক হয়েছেন? উনি নির্দোষ হলে আদালত আত্মসমর্পণ করতেন। ওসি মোয়াজ্জেম পলাতক হয়ে গোটা জাতিকে বিস্মিত করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ ‘যিনি আইনের রক্ষক ছিলেন, পুলিশ বাহিনীর হয়ে আইনের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালত আত্মসমর্পন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে সাধারণ জনগণের মতো ওয়ারেন্টকে ভয় পেয়ে পলাতক হন। পলাতক অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
‘ওসি মোয়াজ্জেম যদি নির্দোষ হতেন, তাহলে তিনি পলাতক হতেন না। উনি দোষী তাই গ্রেপ্তার পরোয়ানি জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পলাতক হয়েছেন, যা পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছে।’ ব্যারিস্টার সুমন আদালতে ওসি মোয়াজ্জেমের জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ শুনানিতে বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেম আইনের আশ্রয় গ্রহণ করার জন্যই উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সারেন্ডারের সুযোগ না দিয়েই, তাকে গ্রেপ্তার করে হয়েছে।’
‘ওসি মোয়াজ্জেম বাইরে বের হননি কারণ বিভিন্ন মিডিয়ার কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু ভিডিও শেয়ারিং করা। নরমালি থানার ভিতরে কোনো ভিকটিম এলে তা রেকর্ড করা হয়। কারণ অনেক সময় এজহার রেকর্ড করার পর তা অস্বীকার করেন ভিকটিম। এজন্য তা রেকর্ড করা হয়েছে।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ৩০ জুন এ মামালর চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এই আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসলাম জগলুল হোসেন মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.