এবিএনএ : শিরোনামটির সঙ্গে জুড়ে আছে একরাশ হতাশা। চট্টগ্রাম টেস্টে পরাজয়ের হতাশা। যার বেশিরভাগ দায় বর্তায় ব্যাটসম্যানদের ওপর। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট পাওয়া নাথান লায়নকে অনেকগুলো উইকেট উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। অযথা, অপ্রয়োজনীয় শট খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যে বাংলাদেশের এমন হতশ্রী অবস্থা অনেকদিন পর দেখা গেল। চট্টগ্রাম টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে নিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ড্র হলো টেস্ট সিরিজ। যদিও, সিরিজটি ২-০ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। ম্যাচের চতুর্থ দিনে আজ বৃহস্পতিবার ৮৬ রানের টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই মুস্তাফিজের বলে অজি সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের (৮) ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। প্রথম ইনিংসেও 'আইপিএল বন্ধু' ওয়ার্নারকে আউট করেছিলেন মুস্তাফিজ। এরপর অধিনায়ক স্মিথকে (১৬) মুশফিকের গ্লাভসবন্দী করেন তাইজুল। অপর ওপেনার ম্যাট রেনশ শিকার হন সাকিবের। তবে হ্যান্ডসকম্ব আর ম্যাক্সওয়েল মিলে অজিদের সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে এর আগে মাত্র ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য অজিদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৮৬ রানের। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬ উইকেট তুলে নিলেন অজি পেসার নাথান লায়ন! তাকে যেন পড়তেই পারছিলেন না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য সরকারকে (৯) হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বিপর্যয়ের শুরু। দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অজি পেসার প্যাট কমিন্সের বলে ম্যাট রেনশর তালুবন্দি হন সৌম্য। তামিমও তার পথ ধরেন। ১২ রান করা দেশসেরা ওপেনারকে নাথান লায়নের বলে স্টাম্পিং করেন ম্যাথু ওয়েড। উইকেট ধরে রাখতে নামানো হয় নাসির হোসেনকে। কিন্তু আজ যেন মড়ক লেগেছে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপে! স্টিভ ও'কেফির বলে স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে নাসিরের সংগ্রহ ৫ রান। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। লায়নের বলে ম্যাক্সওয়েলের তালুবন্দি হওয়ার আগে করলেন ১৫ রান।
বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ। আজ মাত্র ২ রান করে তিনি সেই নাথান লায়নের শিকার হন। ৪৩ রানে ৫ উইকেটে হারানোর পর শঙ্কা জেগেছিল আরেকটি লো-স্কোরিং ইনিংসের লজ্জা পেতে যাচ্ছে কি-না বাংলাদেশ! অস্ট্রেলিয়া ১ ইনিংস খেলে জিতে যাবে না তো? প্রশ্ন দুটির উত্তর আপাতত 'না'। মুশফিক-সাব্বিরের ৫৪ রানের জুটিতে ব্যটিং ধস থামায় বাংলাদেশ। যদিও ২৪ রান করে সেই লায়নের বলেই স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাব্বির। তখনও আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন অধিনায়ক মুশফিক এবং চার থেকে সাতে ব্যাটিং করতে নামা মুমিনুল হক। দুজনে বেশ লড়াই করছিলেন। কিন্তু মুশফিক ৩১ রানে কমিন্সের এবং মুমিনুল ২৯ রানে লায়নের শিকার হলে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তাইজুলকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই করেন মেহেদী মিরাজ। তবে, লায়নের ৬ষ্ঠ শিকার হয়ে ৪ রান করে ফিরেন তাইজুল। মুস্তাফিজকে বোল্ড করে টাইগারদের ইনিংসে ইতি টানেন ও'কেফি। মিরাজ ৭৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali,Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal,
Executive Editor : Mehedi Hasan,E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag,
2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka.
Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Copyright © 2025 America Bangladesh News Agency. All rights reserved.