এ বি এন এ : ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আমদানি চালানে ১৫ কেজি ওজনের একটি বিশেষ হেলথ কেয়ার রোবট জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। একইসাথে গোয়েন্দা ডিভাইস ও নেটওয়ার্কিং সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার এগুলো জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, পণ্য চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় গত ৮ সেপ্টেম্বর শাহজালালের এয়ারফ্রেইটের ১ নং গেট দিয়ে বের করার পর পণ্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়। এতে ৩২৫ কেজির ২৪ টি কার্টন পাওয়া যায়। আজ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে এ ধরনের অনিয়ম উদঘাটন হয়।
পণ্য চালানটি ইনভেন্টরি করে একটি রোবট, ১২০টি স্মার্ট ওয়াচ (সিম স্লট সংযুক্ত), ১০ টি মিনি ডিজিটাল ও ২৫ টি পেন ক্যামেরা (গোয়েন্দা ডিভাইস), ৬৩টি ইথারনেট সুইস, ২৫টি এন্টিনা, ১৯টি বেজ স্টেশনসহ বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কিং সামগ্রী পাওয়া যায়।
শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে টয় ও কম্পিউটার সামগ্রী হিসেবে খালাসের চেষ্টাকালে এয়ারফ্রেইট ইউনিটের বাইরে থেকে এগুলো আটক করা হয়।
রোবটের প্যাকেটে লেখা আছে ‘হেলথ কেয়ার রোবট’। এতে রিমোট কন্ট্রোলসহ ক্যামেরা ও মিউজিক বক্স সংযুক্ত করা আছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় এই রোবট উন্নত দেশে মেডিকেল সেবায় ব্যবহার হয়। তবে এর অপব্যবহার রোধে যে কোন মেডিকেল ডিভাইস আমদানির পূর্বে ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি অনুপস্থিত ছিল।
অন্যদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে আটক নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এবং এজন্য বিটিআরসির অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে তা পরিপালন করা হয়নি। এসব সামগ্রী ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী আমদানিকারক হলেন শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, চট্টগ্রামের মেসার্স গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স। সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিলেন মেসার্স কুম ট্রেডার্স।
কাস্টমসের মহাপরিচালক ডিজি ডক্টর মইনুল খান রোবট জব্দ হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।