এবিএনএ: নির্বাচন কমিশন গঠনে নতুন করে আইন প্রণয়নের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আনিসুল হক বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই।’
নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও একটি সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে তা করার বিধান সংবিধানে রয়েছে। ৫০ বছরেও সেই আইন না হওয়ায় গত দুই বার সার্চ কমিটি গঠন করে নামের সুপারিশ নিয়ে ইসিতে নিয়োগ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপ্রধান। এখন পর্যন্ত ছয়টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন আবদুল হামিদ। তিনি। সংলাপে অংশ নেওয়া এসব দলের অধিকাংশই ইসি গঠনে আইনের পক্ষে তাদের মতামত দিয়েছে।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংলাপ করছেন। তারা ইসি গঠনে আইন প্রণয়ণের যে দাবি জানিয়েছেন, আমিও তার সাথে একমত। কিন্তু আমি বলব, এখন নতুন করে আর আইন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সংসদকে পাশ কাটিয়ে নতুন করে অধ্যাদেশ জারিও সম্ভব নয়। তাই আমার মনে হয় যে পদ্ধতিতে আগের কমিশন গঠিত হয়েছিল এবারও সেভাবেই হওয়া উচিত।
আনিসুল হক আরও বলেন, ইসি গঠনের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব। এ বিষয়ে উনি যে নির্দেশনা দেবেন সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। মন্ত্রী বলেন, কারা নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এখানে কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তি নেই। সার্চ কমিটিতে যে ছয়জন থাকবেন তাদের একজন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। এই চারজন সাংবিধানিক পোস্ট হোল্ডার বাকি দুজন সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি। এখানে কিন্তু রাজনৈতিক দলের কেউ নেই, সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি ১০ জন ব্যক্তিকে বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। এই সার্চ কমিটির কাছে সব রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়ার সুযোগ আছে। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই।