এবিএনএ : খুলনা বিভাগের দশ জেলায় চলমান পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। খুলনা সার্কিট হাউজে প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকের পর সোমবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে এই পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।
খুলনার অভ্যন্তরীণ রুটে সোমবার দুপুর থেকেই ধর্মঘট প্রত্যাহার কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয় বৈঠকে। তবে বাকি নয় জেলায় সন্ধ্যার পর থেকে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে বলে জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খুলনা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। এ সময় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সুবাস চন্দ্র সাহা, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমূল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব হাকিম, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, র্যাব-৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক-বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গাফ্ফার বিশ্বাস, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মো. সরওয়ার হোসেন ও মহিষপুরা-খুলনা আন্ত:জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মহাদেব দাস উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ধর্মঘটের কারণে জনগণের ভোগান্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষিপণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন নাগরিক সমস্যাবলী তুলে ধরে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত বাসচালকের বিষয়ে আইনগতভাবে মামলা মোকাবেলার পরামর্শ প্রদানের জন্য শ্রমিক-নেতাদেরকে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মোটর শ্রমিক নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে তাৎক্ষণিক কথা বলে জনস্বার্থে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারে সম্মত হওয়ায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর-তারেক মাসুদ নিহতের ঘটনায় বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণার প্রতিবাদে রোববার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ছয়টা থেকে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।