এ বি এন এ : তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান থামানো গেলেও এখনও সরকার হুমকিতে রয়েছে বলে মনে করেন তুরস্কের একজন সিনিয়র মন্ত্রী।
সোমবার সকালে ইস্তাম্বুলে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের বাড়ির সামনে জড়ো হন সেনা অভ্যুত্থান থামাতে অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষ।
সেখানে উপস্থিত জনতার সামনে এ কথা বলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিকরি আইসিক।
মন্ত্রী বলেন, আজ আমরা সেনা অভ্যুত্থান থামাতে পেরেছি। কিন্তু সরকারের উপর থেকে হুমকি কেটে গেছে বলে আমরা এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।
তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনারা প্রেসিডেন্টের প্রতিটি বিবৃতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। তিনি যখন আপনাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলবেন তখনই ফিরে যাবেন। তার আগ পর্যন্ত আপনারা রাস্তায় অবস্থান করুন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে তুরস্কের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে দেশটির সেনাবাহিনীর ক্ষুদ্র অংশ। তারা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের ক্ষমতা দখলের দাবিও করেছিল। সারাদেশে কারফিউ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সেনা সদস্যদের অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দেয়। এরদোগান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয় দেশটির জনগণ। তারা সেনা সদস্যদের পিটিয়ে পুলিশে তুলে দেয়। সেনাদের ট্যাঙ্ক দখলে নিয়ে তার মাথায় দেশের পতাকা লাগিয়ে উল্লাস করে জনতা।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের দেয়া তথ্য মতে, ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টায় নিহত হয়েছেন ২৬৫ জন। এর মধ্যে অভ্যুত্থানপন্থী বিদ্রোহী রয়েছেন ১০৪ জন। আর অভ্যুত্থান প্রতিরোধ করতে গিয়ে সামরিক-বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন ১৬১ জন।
ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে অন্তত ২৭২ প্রসিকিউটর ও বিচারককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হিজমেত আন্দোলনের নেতা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় বসবাসরত ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সরকার উৎখাত পরিকল্পনায় জড়িত। ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আটক এসব বিচারকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
ব্যর্থ এ অভ্যুত্থানের নেপথ্যের ভিলেন হিসেবে গুলেনকে দায়ী করেছে তুর্কি সরকার। এর আগে ফেতুল্লাহর সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে শনিবার ২ হাজার ৭৪৫ জন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়।