তথ্য প্রযুক্তি

স্মার্টফোনে যেভাবে চার্জ দেবেন

এবিএনএ : স্মার্ট ফোনের চার্জ ফুরিয়ে গেলে আবার চার্জ দিতে হয়।  ফোনে চার্জ দেওয়ার পদ্ধতির উপরও কিন্তু নির্ভর করে ফোনের ব্যাটারির আয়ু কতদিন হবে।

-চার্জ দিন নিজস্ব চার্জারে। যে মডেলের জন্য যে চার্জার বরাদ্দ, সেটি ছাড়া অন্য হ্যান্ডসেটের চার্জারে চার্জ দেবেন না। এমনটা করলে আপনার ফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে মাইক্রো ইউএসবি পোর্টের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিন্তু ইউনিভার্সাল চার্জার।
-ফুটপাত থেকে সস্তার চার্জার কিনে ভুলেও ফোন চার্জ দেবেন না। কারণ, সস্তার চার্জারগুলি কোন সংস্থা উৎপাদন করে, তারা কোনও সুরক্ষাবিধি মেনে চলে কি না, সেটা কারও জানা নেই। অ্যাডাপটার ফেলিওর হলে কিন্তু ফোনের ব্যাটারি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
-পারলে ফোনের প্রোটেক্টিভ কভার খুলে চার্জ দিন। কারণ, চার্জ দিলে ফোনের ব্যাটারি সামান্য গরম হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কভার পরানো অবস্থায় চার্জ দিলে ব্যাটারির স্বাভাবিক তাপ আদানপ্রদানের ক্ষমতা খর্ব হয়। প্রয়োজন পড়লে ফোনের স্ক্রিনে একটি নরম কাপড় ঢাকা দিয়ে উল্টে রেখে চার্জ দিন।
-‘ফাস্ট চার্জিং’ টেকনোলজি কিন্তু ফোনের ব্যাটারির আয়ুর পক্ষে ক্ষতিকর। এই পদ্ধতিতে ফোনের ব্যাটারিতে হাই ভোল্টেজের কারেন্ট পাঠানো হয়। যার ফলে একধাক্কায় ফোনের ব্যাটারি অনেকটা গরম হয়ে যায়। সাধারণ চার্জারে এমনটা হয় না।
-অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে, সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে রাখা। এই প্রবণতা কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর। ওভারচার্জিং ব্যাটারির পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।
-প্লে স্টোর থেকে আজেবাজে ব্যাটারি সেভিং অ্যাপস ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এই অ্যাপগুলিই বরং বেশি চার্জ খরচ করে।
-একবারে পুরো চার্জ দিতে না পারলেও অন্তত ৮০ শতাংশ চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করুন।
-বারবার অল্প অল্প করে চার্জ দেবেন না। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়।
-ভোল্টেজের সমস্যা হলে চেষ্টা করুন পাওয়ার ব্যাঙ্কের সাহায্যে ফোনে চার্জ দিতে। এতে পাওয়ার কাট, ওভার-কারেন্টের মতো সমস্যা হবে না।
-সবচেয়ে জরুরি কথা, কথা বলতে বলতে ফোনে চার্জ এক্কেবারে দেবেন না। এতে যে শুধু ফোনের ক্ষতি হয় তাই না, আপনারও ক্ষতি হতে পারে। ফোনের ব্যাটারিতে গলদ থাকলে ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনারও কিন্তু বেশ কিছু নজির রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button