বাংলাদেশলিড নিউজশিক্ষা

যে কারণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

এবিএনএ : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ছিল, আজ বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকবে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হঠাৎ শিক্ষার্থীরা বন্ধ ঘোষণার নোটিশ পায়। ফলে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিন বন্ধের কথা জানানো হয়। তবে আগের তিন দিনের মতো গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা শিক্ষার্থীদের ভবনের ভেতরে ঢুকতে দিলেও ফারহান উদ্দিনকে ঢুকতে দেয়নি। এতে সব শিক্ষার্থীই বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন চালিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে ফারহান উদ্দিন আহমেদ বিক্ষোভস্থল থেকে চলে যান। এরপর ৪টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমরা ফারহান স্যারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আজ (গতকাল) অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এমনকি কর্তৃপক্ষ কিছু শিক্ষার্থীকে আমাদের ওপর লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা চালানো হয়। এর পরও আমরা বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা যেকোনোভাবেই হোক স্যারের পুনর্বহাল চাই। ’

তবে শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে দোষারোপ করছে আমার ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ে আমি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছি। আর আমি বিক্ষোভস্থলে থাকলে আলোচনা আরো ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমি আন্দোলনস্থল থেকে সরে এসেছি। তবে অন্যায়ভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ এখনো জানাচ্ছি এবং পুনর্বহাল দাবি করছি। তবে শিক্ষার্থীরা এখনো বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। ’

শিক্ষার্থীরা গতকালও তিন দফা দাবি জানায়। সেগুলো হচ্ছে লাঞ্ছিত শিক্ষকের পুনর্বহাল, যাঁরা ফারহান স্যারকে লাঞ্ছিত করেছেন সেসব অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের হয়রানি না করা।

গত রবিবার আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মবহির্ভূতভাবে এই অব্যাহতিপত্র দেওয়ায় তিনি তা গ্রহণ না করায় তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়। এর প্রতিবাদে চার দিন ধরে আন্দোলন করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button