জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

বাড়তি ভাড়া, কারণ জানতে গেলে সাংবাদিককে আত্মহত্যার প্ররোচনা রেল সচিবের

এবিএনএ: ট্রেনের টিকেটে ৬৮ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কারণ জানতে গেলে সাংবাদিককে আত্মহত্যার পরামর্শ দিয়ে সমালোচন মুখে পড়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও বুধবার ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রণালয়ে নিজের রুমে ওই সচিব সাংবাদিককে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দিচ্ছেন। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছে সময় টেলিভিশন। প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টার নাজমুস সালেহী গিয়েছিলেন ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে। সেখানে তিনি দেখতে পান ঢাকা কোলকাতা ট্রেনের টিকেটের দাম ২,৪৩২ টাকা, কিন্তু টিকেটে মোট দাম লেখা ২,৫০০ টাকা। এভাবে প্রতি টিকেটে ৬৮ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এভাবে টাকা বেশি নেওয়ায় বছরে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রীর কাছ থেকে ৪০ লাখেরও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ টাকা কোথায় যাচ্ছে এ বিষয়ে কথা বলতে রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেনের কাছে যান রিপোর্টার নাজমুস সালেহী। এ সময় সচিব সাংবাদিককে জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা নিয়ে আপনার এতো উৎসাহ কেনো। যে নিয়মিত কোলকাতায় যাচ্ছেন তিনি জিজ্ঞেস করুক। তাকে বলবোনে। আমাদের কাছে তো এটার ব্যাখ্যা আছে।’ এ পর্যায়ে সাংবাদিক সে ব্যাখ্যা সচিবকে অন রেকর্ড দিতে বলেন। সচিব বলেন, ‘এ ব্যাখ্যা আপনার দরকার কেন?’ এরপর মিয়া জাহান নামে অন্য এক কর্মকর্তা ডেকে পাঠান সচিব। সেখানে মিয়া জাহান পরদিন বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু একদিন সময় দিয়েও ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজী না হওয়ায় সাংবাদিক নাজমুস সালেহী আবারো সচিবের কাছে যান।

সেখানে রিপোর্টারকে উদ্দেশ্য করে সচিব বলেন, ‘আপনি এখন আত্মহত্যা করেন। একটি স্টেটমেন্ট লিখে যান যে, রেলের লোকেরা আমার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছে না। এই মর্মে ঘোষণা দিলাম যে, তারা কথা না বলার কারণে আমি আত্মহত্যা করলাম।’ সাংবাদিক নাজমুস সালেহী বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ সত্যি। রেল সচিব আমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন। আত্মহত্যার যে কথা বলেছেন তা রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন স্বীকার করেছেন। তবে তিনি দাবি করছেন, রসিকতা করে এ কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, আমি বুঝিনি যে সে ওভাবে নেবে। একেবারেই ফান করার জন্য বলেছিলাম। তারপরেও কোনো ভুল হলে আমি সরি বলছি। অতিরিক্ত টাকা কিভাবে নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দুদেশের রেলের জয়েন্ট কমিটি ভাড়া নির্ধারণ করে। ভাড়া ডলারে নির্ধারিত হয় কিন্তু পেমেন্ট হয় টাকা। সে কারণে টাকার পরিমাণ কম বেশি হয়। যে কারণে রাউন্ড আপ করে এভাবে ভাড়া নির্ধারণ করি।

Share this content:

Back to top button