বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

দেশে বর্তমানে তিন দুর্যোগ দেখছেন রিজভী

এবিএনএ : ‘দেশে এখন তিনটি দুর্যোগ চলছে। একটি শেখ হাসিনা, দ্বিতীয়টি বিচারপতি খায়রুল হক এবং তৃতীয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা’- এমন দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য সরকারের কোনো ত্রাণ তৎপরতা নেই।’

বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা দল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘সারাদেশের বন্যার্তদের জন্য সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেই, উপদ্রুত এলাকা থেকে মানুষকে যে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে এরও দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই।’

নেতাদের প্রতি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলের চেয়ারপারসনের জরুরি বার্তার কথা তুলে ধরে রিজভী নেতাকর্মীদের উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

রিজভী বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ এখনো পানিবন্দি। চাল-ডাল দিলেও কোনো কিছু করতে পারছে না। কোথাও রান্না করে নিয়ে যাবে সেই উপায়ও নেই। রেললাইন, রাস্তা-ঘাট ভেসে গেছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের গুদামে চাল নেই, গম নেই। মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। অথচ তারা (সরকার) মুখে তুবড়ি ছুটাচ্ছেন। আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছেন তারা (সরকার) আসলে কোনো সার্ভিস দিচ্ছেন না, লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন।’

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হকের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এত বড় অনুগত, এত বড় আত্মবিক্রিকারী ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ অলংকৃত করেছিলেন। সমাজে এ ধরনের লোক থাকলে দেশে ন্যায়বিচার ও মানুষের নাগরিক অধিকার থাকবে না। মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন হবে না, নারী নির্যাতন হতেই থাকবে। কারণ এরা বিবেক নয় শেখ হাসিনার কথায় রায় দেন।’

রিজভী বলেন, ‘খায়রুল হক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করেছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে তিনি (খায়রুল হক) ১০ লাখ টাকা পেতেন না। প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসরের পর তার থেকে নিচু পদ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হতেন না। চাকরি, টাকা, চিকিৎসা এবং সহায়-সম্পত্তির লোভে তিনি শেখ হাসিনার কাছে আত্মা বিক্রি করে দিয়েছেন।’

আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব আলোচনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেত্রী পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button