আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

এবিএনএ : মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার টানা ৮ বছর পর এবারই প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হলো।

কানাডার দুই প্রবাসী রফিকুল ইসলাম এবং এম এ সালামের ঐকান্তিক আগ্রহে বাংলাদেশের প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতাপূর্ণ সহায়তায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সেই পথ পরিক্রমায় জাতিসংঘেরও স্বীকৃতি মেলে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ, হাঙ্গেরি, মরিসাস, পেরু ও ভানুয়াতু স্থায়ী মিশন এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নিউইয়র্কস্থ ইউনেস্কো অফিস ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের সম্মিলিত উদ্যোগে স্থানীয় সময় ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় জাতিসংঘ সদও দপ্তরের কনফারেন্স রুম-৪ এ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-এই দুই পর্বে বিভক্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ আয়োজনের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

হাঙ্গেরির স্থায়ী প্রতিনিধি কাতালিন এ্যানামারিয়া বোগায়া, মারিসাসের স্থায়ী প্রতিনিধি জগদিস ধর্মচান্দ কজুল, পেরুর স্থায়ী প্রতিনিধি গোসটাভো মেজা কোয়াদ্রা, ভানুয়াতুর স্থায়ী প্রতিনিধি ওডো ট্যাভি, জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ইনফরমেশনের প্রধান ক্রিস্টিনা গ্যালাক, জেনারেল এসেম্বিলী, কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট এবং ওয়াইড কো-অর্ডিনেটর ফর মাল্টিলিঙ্গুয়ালিজম বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড এসময় আলোচনা প্রদান করেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি পিটার থমসন, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাণী পড়ে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক স্কুলের শিক্ষার্থীগণ, ইউএন লার্নিং সেন্টার ফর মাল্টিলিংগুয়ালিজম এন্ড ক্যারিয়ার ডেভোলোপমেন্ট এর শিক্ষকগণ, জাতিসংঘের জেনারেল এ্যাসেম্বিলি ও কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগে কর্মরত ভাষা কর্মীগণ গান, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত সদস্য দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধিগণ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালি ও মিডিয়া প্রতিনিধিগণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button