খেলাধুলালিড নিউজ

অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা মাশরাফির

এবিএনএ : বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন। সিলেটে বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসান নিষেধাজ্ঞা থেকে না ফেরা পর্যন্ত মাশরাফিকে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রাখার চিন্তার কথা সমকালকে জানান বেশ কয়েকজন বোর্ড কর্মকর্তা। তবে মাশরাফি সমকালকে জানান, তিনি নেতৃত্বে থাকবেন কি-না বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন।

বৃহস্পতিবার ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি ঘোষণা দেন, শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে তার শেষ ম্যাচ। নেতৃত্বের এই পথচলায় পাশে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘কালকে অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ। আমার ওপর দীর্ঘ সময় আস্থা রাখায় বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমার নেতৃত্বে যারা খেলেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। আমি নিশ্চিত এই প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল না, গত ৪-৫ বছরের ভ্রমণ সহজ ছিল না।’

মাশরাফি টিম ম্যানেজমেন্ট, সকল কোচিং স্টাফ, নির্বাচক, বোর্ড কর্মকর্তা, বোর্ডের প্রতিটি স্টাফ ও সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত লিখিত বক্তব্য দেন, ‘আজকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ। যদি সুযোগ আসে, খেলোয়াড় হিসেবে আমি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। শুভকামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য।’ আগামী ৮ মার্চ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভা আছে। বিসিবি সভাপতি এর আগে জানান, ওই সভায় নতুন মেয়াদে কাউকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে। মাশরাফিও ছিলেন আলোচনায়। তবে মাশরাফি নিজে থেকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ায় এবার নতুন কাউকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে দেখা যাবে।

বাংলাদেশ দলে ২০০১ সালে অভিষেক হয় মাশরাফির। ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পান তিনি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দীর্ঘ হয়নি প্রথম মেয়াদে পাওয়া তার অধিনায়কত্ব। এরপর ২০১৪ সালে আবার দলের অধিনায়ক হন মাশরাফি। দলকে নেতৃত্ব দেন ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তার অধীনে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেছে। দলকে তিনি ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন। হার দেখেছেন ৩৬ ম্যাচে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button