ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি নিয়ে উত্তেজনা, কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি অনিশ্চয়তায়
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, ট্রুথ সোশ্যালে জানালেন চুক্তি করা হবে ‘খুব কঠিন’


এবিএনএ: ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রতিনিধি মার্ক কার্নি জানান, গাজার মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটছে এবং এটি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এজন্যই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।
এই ঘোষণার মাত্র ১২ ঘণ্টা পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “ওয়াও! কানাডা এখন বলছে তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এতে তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করাটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। ওহ কানাডা!!!”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন তার প্রশাসন ‘লিবারেশন ডে’ নামে নতুন শুল্কনীতি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
এই নীতিতে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখনো আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য চুক্তি হয়নি, তাদের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হবে। যদি চুক্তি আজকের মধ্যে না হয়, তাহলে আগামী শুক্রবার থেকে কানাডার পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বসানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সম্পন্ন করেছে। তবে চীন ও মেক্সিকোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এখনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।
এদিকে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন মাত্রার কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
গাজায় খাদ্য ও মানবিক সংকটও দিন দিন চরম আকার ধারণ করছে। বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টিতে আরও সাতজন মারা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বলেন, “গাজায় বাস্তবেই মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। আমি ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রে কাজ করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।”
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ বুধবার ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।