যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি ডলার, তাকেই করমর্দন করলেন ট্রাম্প!
সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত শারার সঙ্গে বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্টের


এবিএনএ: যে নেতার মাথার দাম ছয় মাস আগেও ছিল ১ কোটি মার্কিন ডলার, সেই আহমেদ আল-শারার সঙ্গেই হাত মেলালেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে শারা আজ আন্তর্জাতিক কূটনীতির মঞ্চে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সিরিয়ার সাবেক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ও সন্ত্রাসী তকমা পাওয়া নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি এখন পরিচিত আহমেদ আল-শারা নামে। তিনি নেতৃত্ব দেন হায়াত তাহরির আল-শামকে—যা আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট আল-নুসরা ফ্রন্ট থেকে জন্ম নিয়েছিল।
ডিসেম্বরে হায়াত তাহরির আল-শাম সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। শারা ক্ষমতায় আসার পরপরই কূটনৈতিকভাবে সিরিয়ার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে উদ্যোগী হন।
এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবেই সিরিয়ার নতুন সরকারকে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ এবং ‘অ-যুদ্ধমুখী’ হিসেবে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করা শুরু করেন শারা। এই কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলস্বরূপ, ডিসেম্বরে দামেস্ক সফরে আসে একটি উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র শারার বিরুদ্ধে জারি করা ১ কোটি ডলারের পুরস্কার বাতিল করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ও শারার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৭ মিনিটে, যা শেষ হয় ৩৩ মিনিট পর। এই বৈঠককে ট্রাম্প ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার একটি নতুন সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক মহলে এই বৈঠক ও সিদ্ধান্তকে কেউ দেখছেন নতুন কূটনৈতিক যুগের সূচনা হিসেবে, আবার কেউ একে আখ্যা দিচ্ছেন “অবাক করা কৌশলগত পলিসি শিফট”।
এক সময় যাকে খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্র ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, এখন সেই নেতার হাতেই বিশ্বশক্তির নেতারা রাখছেন বিশ্বাসের বার্তা।
Share this content: