লাইফ স্টাইললিড নিউজ

হবু মায়েদের জন্য ওমেগা ৩

এবিএনএ: একজন সুস্থ মা-ই পারে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে। তাইতো সুস্থ সন্তান পাওয়ার প্রথম শর্তই হলো মাকে সুস্থ থাকা। আর মায়ের সুস্থ থাকার জন্য চাই পুষ্টিকর প্রয়োজনীয় খাবার। মায়ের সঠিক যত্ন ও পুষ্টির উপরই নির্ভর করে সুস্থ সবল শিশুর যত্ন ও বেড়ে ওঠা।
একটি সুস্থ সবল সন্তান সব মায়ের কাম্য। যার পরিচর্যা শুরু হয় শিশুর জন্মের আগেই মায়ের গর্ভে। ভ্রুণ অবস্থা থেকেই মানব শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু হয়। তার বুদ্ধি, বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যক্তিত্বের ভিত্তি নির্মিত হয় সেখানেই। ভ্রুণাবস্থায় মস্তিষ্কের বিকাশ দীর্ঘ হলে তা একটি শিশুর ব্যক্তিত্বের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, গর্ভাবস্থা থেকে শিশুর জন্মের পর প্রথম পাঁচ বছর শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।
মায়ের শরীরের পরিপূর্ণ যত্নের মাধ্যমেই সুস্থ সবল শিশুর জন্ম সম্ভব। গর্ভাবস্থায় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান ও খাবারের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় এমন খাবারগুলো খাওয়া জরুরি, যেসব খাবার মা ও শিশু উভয়ের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড একটি অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
আমরা সাধারণত যেসব খাবার খেয়ে থাকি সে খাবার থেকে আমাদের শরীরের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। কারণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উৎস হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, টুনা), লিভার এবং মাছের তেল। শিশুর মস্তিষ্কের ৭০ শতাংশ গঠন সম্পন্ন হয় মায়ের গর্ভেই। মস্তিষ্কের শতকরা ৬০ শতাংশই ফ্যাটি বস্তু। সেলমেমব্রেন, হরমোন, সিগনাল মেসেঞ্জার প্রভৃতি তৈরিতে ফ্যাটি এসিড ভূমিকা রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডোকোসাহেক্সায়োনিক অ্যাসিড একটি অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড, যা শিশুর মেধা বিকাশে অপরিহার্য।
গবেষণায় প্রমাণিত, শিশুর মস্তিষ্ক গঠন ও স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে গর্ভবতী মায়ের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডোকোসাহেক্সায়োনিক অ্যাসিড খুবই প্রয়োজনীয়।

পূর্ণাভা বাজারে এনেছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিম। গর্ভবতী মায়ের শরীরের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং আয়রনের চাহিদা মেটাতে পারে পূর্ণাভার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিম। এ সম্পর্কে একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. শেখ নজরুল ইসলাম। তিনি তার পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছেন যে, সাধারণ ডিমে যে পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডোকোসাহেক্সায়োনিক অ্যাসিড পাওয়া যায় তার তুলনায় পূর্ণাভার ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ডিমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডোকোসাহেক্সায়োনিক অ্যাসিড-এর পরিমাণ ৪ গুণেরও বেশি।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button