‘এক দেশে দুই সংবিধান চলতে পারে না’—সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রশ্ন
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বললেন, সংবিধান সংস্কারের সিদ্ধান্ত সংসদেই হওয়া উচিত, অযৌক্তিক প্রস্তাব বাদ দিয়ে ঐকমত্যের বিষয় বাস্তবায়ন জরুরি


এবিএনএ: এক দেশে কীভাবে দুটি সংবিধান থাকতে পারে—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আয়কর আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সংবিধানের যেসব সংশোধনী বা সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে, তা বাস্তবায়নে দেরি করা উচিত নয়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—বর্তমান সংবিধান বহাল থাকা অবস্থায় নতুন সংস্কারের প্রয়োগ হলে দেশের বিচার বিভাগ ও প্রশাসন কোন সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে? আদালতে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করে বসে, তখন কে বলবে এই পরিবর্তনের অধিকার কার?
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, সাংবিধানিক সংস্কারের আলাপ-আলোচনা চলছে, বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। তবে বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদই উপযুক্ত ফোরাম। তিনি প্রস্তাব দেন, সংসদীয় অনুমোদনের অপেক্ষায় না থেকে সরকার চাইলে নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সংস্কার প্রস্তাবগুলো কার্যকর করতে পারে।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে, যা এখনো মন্ত্রিসভায় বিবেচনায় আছে। সরকার চাইলে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে গ্রহণযোগ্য সংস্কারগুলো কার্যকর করতে পারে।
আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন, তাদের জন্য বলছি—দেশ এখন নির্বাচনী আবহে। খুব শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, আর তার প্রত্যাবর্তনই হবে নির্বাচনমুখী ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা।”