মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে বিতর্কে এনসিপি, ইসিতে আপত্তি তুলল ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’
নিবন্ধনের জন্য মোবাইল ফোন প্রতীক চাওয়ায় এনসিপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত আপত্তি জানাল ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ দল


এবিএনএ: নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক প্রতীক নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। মোবাইল ফোন প্রতীক চেয়ে আবেদন করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়েছে ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ নামের একটি দল। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তারা মোবাইল ফোন প্রতীকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন এবং নিবন্ধনের সময়েও এই প্রতীক বরাদ্দ চেয়েছেন।
সোমবার এক বিবৃতিতে ‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’-এর প্রেসিডেন্ট বাবুল হোসেন জানান, “আমরা নির্বাচন কমিশনের সব নিয়ম মেনেই মোবাইল ফোন প্রতীকের জন্য আবেদন করেছি। অথচ আমাদের আগেভাগে ব্যবহৃত প্রতীকটি এনসিপি দাবী করছে, যা ন্যায়সংগত নয়।”
এই ইস্যুতে তিনি ইসির সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ছাত্র গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নিয়ে গঠিত এনসিপি সম্প্রতি, ২২ জুন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেয়। প্রস্তাবিত প্রতীক হিসেবে তারা শাপলা চাইলেও বিকল্প প্রতীক হিসেবে চেয়েছে মোবাইল ফোন ও কলম।
তবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত না থাকায় বিকল্প প্রতীকগুলোকেই মূল বিবেচনায় আনতে পারে নির্বাচন কমিশন। এদিকে মোবাইল ফোন ও কলম প্রতীক চেয়ে ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি দল আবেদন জমা দিয়েছে, যার ফলে প্রতীক নিয়ে জটিলতা বাড়ছে।
‘জনস্বার্থে বাংলাদেশ’ মনে করে, প্রতীক নিয়ে এই ধরণের দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক পরিবেশে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। তাই সবার আগে যার দ্বারা প্রতীকের কার্যকর ব্যবহার প্রমাণিত—তাদের প্রতিই কমিশনের অগ্রাধিকার থাকা উচিত বলে দাবি করেছে দলটি।