লিবিয়া থেকে জীবনের দ্বিতীয় সুযোগে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি: রাষ্ট্রদূতের বিশেষ বার্তা
ত্রিপোলির তাজুরা সেন্টার থেকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে ফিরছেন বাংলাদেশিরা, রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ—বৈধ পথে অভিবাসনই নিরাপদ


এবিএনএ: লিবিয়া থেকে অবশেষে দেশে ফিরছেন দীর্ঘদিন আটক থাকা ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় ত্রিপোলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বুরাক এয়ারলাইন্সের ইউজেড-২২২ ফ্লাইটে তারা সোমবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করেন লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। তিনি অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা সেন্টারে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) এবং লিবিয়ার অভিবাসন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মানবিক সহায়তার এই উদ্যোগকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করায় লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি প্রত্যাবাসিতদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ভূমধ্যসাগরের প্রাণঘাতী পথ থেকে বেঁচে ফেরা নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় জীবনের মতো। দেশে ফিরে নতুনভাবে জীবন শুরু করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।”
তিনি আরও বলেন, “অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় জীবন, সম্মান, সময় ও অর্থ—সবই ঝুঁকির মুখে পড়ে। তাই বৈধ পথেই দক্ষতা উন্নয়ন এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে।”
রাষ্ট্রদূত সবাইকে দেশে ফিরে মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। পাশাপাশি পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, দেশের দূতাবাস ভবিষ্যতেও অভিবাসীদের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
শেষে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাবাসিতদের সফল পুনর্বাসনের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার উৎসাহ দেন।




