কলকাতায় ধরা পড়লেন বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল, একাধিক নথি জালিয়াতির অভিযোগ
যাদবপুরে গোপন বাসস্থান, একাধিক পরিচয়, জাল নথি এবং ভারতীয় কার্ড ব্যবহার করে বছরের পর বছর বসবাস করেছিলেন শান্তা পাল


এবিএনএ: কলকাতায় অবৈধভাবে বসবাস ও জাল নথিপত্র ব্যবহারের অভিযোগে বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পালকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের বিজয়গড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শান্তা পাল ক্যাবের ব্যবসার আড়ালে বেশ কিছু বছর ধরে কলকাতায় বসবাস করছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ভারতীয় ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড পাওয়া যায়। তবে তার পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বহু আগেই, যা তিনি আর নবায়ন করেননি।
২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকছিলেন শান্তা। শুধু তাই নয়, কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন নাম ও পরিচয়ে বেশ কয়েকবার বাসস্থান পরিবর্তন করেছেন তিনি।
তদন্তে উঠে আসে, ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের একটি ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি ভারতীয় আধার কার্ড সংগ্রহ করেন। দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়েও তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন, যার ঠিকানায় প্রতি মাসেই ইলেকট্রিক বিল আসে শান্তা পালের নামে।
শান্তা পাল বাংলাদেশের একটি বিউটি পেজেন্টে ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল বাংলাদেশ’ খেতাব অর্জন করেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বিমানসেবিকার কাজও করেছেন। এছাড়া ২০২০ সালে তিনি টালিউডের পরিচালক ও শ্রাবন্তীর প্রাক্তন স্বামী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন।
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ শান্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার বিরুদ্ধে পার্কস্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, শান্তা পালের স্বামী ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। তাদের নামেই ফ্ল্যাটে আধার ও রেশন কার্ড পাওয়া গেছে। এসব নথি কতটা বৈধ, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শান্তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।