‘আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ’-ক্ষোভে জনগণ: জামায়াত আমির
খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমানের দাবি, অন্যরা ক্ষমতার দাপট দেখালেও ইসলামি দলের ওপর চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই।


এবিএনএ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর দেশের পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী জনসম্পৃক্ত না হয়েও ক্ষমতার প্রভাব দেখাচ্ছে, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তার ভাষায়, “মানুষ এখন বলতে বাধ্য হচ্ছে—আগে ভালো ছিলাম না, এখন আরও খারাপ।” তবে তিনি দাবি করেন, ইসলামি দলগুলোর বিরুদ্ধে কখনো চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেনি।
সোমবার বিকেলে খুলনা নগরের ঐতিহাসিক শিববাড়ী মোড়ে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আটটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ করে ৩৫ বছরের নিচের তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে জামায়াত আমির বলেন, আগের তিনটি নির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেননি, তারা এবার নিজের অধিকার নিয়ে আপস করবেন না। তিনি বলেন, “তোমাদের ভোট নিয়ে কেউ ছিনিমিনি করলে আমরা তা হতে দেব না। প্রয়োজনে ভোটের অধিকার রক্ষায় রাজপথে লড়াই করব।”
তরুণদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, “তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তোলো যেন তোমরা শুধু চাকরি না করে, চাকরি দেওয়ার মানুষ হও।”
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে দুটি ধারায় শিক্ষা চলছে—মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা। তার মতে, মাদ্রাসায় জ্ঞানচর্চা হয়, সহিংসতা হয় না। পক্ষান্তরে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পরিবেশ অনেক সময় অস্থির হয়ে উঠে, যা সভ্য সমাজের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজকে সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলীয় পোস্টার-পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হলেও জনগণ এখন আর পোস্টার দেখে ভোট দেয় না। তারা হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি ঘোষণা দেন, আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ইসলামি দলগুলোর ঐক্য জাতীয় সংসদ পর্যন্ত পৌঁছে দেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্টের মতো গণজাগরণ ঘটানোর হুঁশিয়ারিও দেন।




