জাতীয়

যুবদল নেতার মৃত্যু: যৌথ বাহিনীর ৮ সদস্যসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আসিফ শিকদারকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

এবিএনএ:  ঢাকার মিরপুরে যুবদল কর্মী আসিফ শিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে হত্যা মামলা। বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে মামলাটি করেন নিহতের মা স্বপ্না বেগম। আদালত মামলার শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন রাজধানীর শাহআলী থানার ওসি শরিফুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মতিউর রহমান, ডিএমপির দারুসসালাম অঞ্চলের এসি এমদাদুল হক, এডিসি জাকারিয়া, মিরপুর বিভাগের ডিসি মো. মাকসুদুর রহমান, সায়েন্সল্যাব সেনা ক্যাম্পের মেজর মুদাব্বির, ক্যাপ্টেন তাম্মাম, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সিরাজ, আবুল কালাম আজাদ লেলিন, ইনফরমার খলিল এবং সিএনজি চালক ফরিদ।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই মধ্যরাতে আসিফ শিকদারকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শাহআলী থানায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

পরদিন ২১ জুলাই ভোরে যৌথ বাহিনী মিরপুরের দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে আসিফসহ তিন যুবদল কর্মীকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথাও জানানো হয়। আটক হওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন আসিফ। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

আসিফের পরিবার দাবি করেছে, আটক করার সময়ই নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আসিফ শিকদার ছিলেন যুবদলের সক্রিয় কর্মী এবং ছাত্রদলের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব।

পুলিশ সূত্র জানায়, আটককৃতদের প্রথমে সায়েন্সল্যাব সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৯টার দিকে সেখান থেকে তিনজনকে ফের শাহআলী থানায় হস্তান্তর করা হয়। দুপুরের দিকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আসিফের বিরুদ্ধে এর আগে চাঁদাবাজি এবং থানার সামনে ঘেরাওয়ের মামলা ছিল। মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি ছাড়া পান তিনি।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি এখন তদন্তাধীন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button