আমেরিকা

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ হলেও পিছিয়ে যাব না: নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি

নিউ ইয়র্ককে সাশ্রয়ী শহরে রূপান্তরের অঙ্গীকার জোহরান মামদানির—উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা

এবিএনএ: নিউ ইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বলেছেন, শহরটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী থেকে সাশ্রয়ী মূল্যের শহরে রূপান্তর করাই তার প্রধান লক্ষ্য। বুধবার এবিসি নিউজকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার বিজয় জনগণের কাছ থেকে পাওয়া এক “স্পষ্ট ম্যান্ডেট”—যা নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য বাস্তব পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি বহন করছে।

মামদানি জানান, “উচ্চাকাঙ্ক্ষী সাশ্রয়ী নীতি” বাস্তবায়নে তিনি কর বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প দেখছেন না। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, সাধারণ নাগরিকদের নয়, নিউ ইয়র্কের শীর্ষ এক শতাংশ ধনী শ্রেণির ওপর বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা তার।

প্রতি বছর এক মিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের ব্যক্তিদের জন্য দুই শতাংশ অতিরিক্ত কর এবং কর্পোরেট কর ১১.৫ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন তিনি। এতে বছরে প্রায় নয় বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ সম্ভব হবে বলে ধারণা তার।

ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের শহর ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মামদানি বলেন, “শিশু যত্ন ও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ই কর্মীদের শহর ছাড়তে বাধ্য করছে। কর বৃদ্ধি নয়, বরং মানবিক জীবনযাত্রাই প্রতিভা ধরে রাখার উপায়।”

নির্বাচনের আগে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মামদানি জিতলে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় মামদানি বলেন, “যদি প্রেসিডেন্ট শহরের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেন, আমি তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’, কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

নিউ ইয়র্কের নাগরিকরা আশা করছেন, মামদানির নেতৃত্বে শহরটি নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতায় প্রবেশ করবে—যেখানে সমতা, সুযোগ এবং সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা অগ্রাধিকার পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button