

এবিএনএ: জবি শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে তাঁরা রাজপথ ছাড়বে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের মুখেও শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন—‘আমার ভাই আহত কেন, জবাব চাই’, ‘আমার ভাই অনাহারে, যমুনা কী করে’, ‘এসেছি যমুনায়, যাব না খালি হাতে’ ইত্যাদি।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লং মার্চ শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ চালায়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিক আহত হন।
দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন এবং ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ সড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পাশে গিয়ে যোগ দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দাবি করেন—এ হামলার বিচার হতে হবে। জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, “আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। সরকারের আচরণে আমরা বিস্মিত। আমাদের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন—এটার জবাবদিহি চাই।”
তাদের তিন দফা দাবি হলো:
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে।
-
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট ছাড়া অনুমোদন করতে হবে।
-
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস দ্রুত একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিকেলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সহকারী সচিব শাব্বীর আহমদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরতরা।
জবি শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এখনই পিছু হটবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই চলবে তাদের লড়াই।
Share this content: