ইরাক আগ্রাসনের নেপথ্যের স্থপতি ডিক চেনি আর নেই
ইরাক যুদ্ধের প্রধান নীতিনির্ধারক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি নিউমোনিয়া ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন।


এবিএনএ: ইরাক যুদ্ধের অন্যতম প্রধান নীতিনির্ধারক ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়া ও হৃদরোগজনিত জটিলতায় ভুগে সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়াইওমিং অঙ্গরাজ্যে নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। চেনি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যা ও ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডিক চেনি। তার আগে, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জর্জ বুশ সিনিয়রের অধীনে প্রতিরক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
রাজনীতিতে তাঁর দীর্ঘ চার দশকের ক্যারিয়ারে চেনি মার্কিন প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া, তিনি দীর্ঘ সময় হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
নাইন-ইলেভেন হামলার পর চেনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ‘ওয়ার অন টেরর’ বা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অন্যতম নকশাকার। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের পেছনেও ছিল তাঁর দৃঢ় সমর্থন ও কৌশলগত ভূমিকা।
ডিক চেনির মৃত্যুতে মার্কিন রাজনীতিতে এক যুগের অবসান ঘটল। বিশ্ব রাজনীতিতে তাঁর বিতর্কিত কিন্তু প্রভাবশালী ভূমিকা আজও আলোচিত।




